Saturday, December 10, 2016

ফলন বেশি দাম বেশি ও সুগন্ধিযুক্ত হওয়ায় পার্বতীপুরে ব্রী ধান ৩৪ চাষাবাদ বেড়ে চলেছে

 
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফলন বেশি, সুগন্ধিযুক্ত, দাম বেশি ও বিদেশে রপ্তানী হওয়ার কারনে ব্রী ধান ৩৪ (স্থানীয়ভাবে জিরা কাটারী হিসেবে পরিচিত)। উচ্চ ফলনশীল এ ধান আবাদে উপজেলা কৃষকেরা ঝুকে পড়েছেন। চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে এ ধান আবাদ করা হয়েছিলো। যা উপজেলার মোট আবাদী জমির শতকরা ৬০ ভাগ বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ্ মোঃ রওশন কবীর জানান, উপজেলায় এবার মোট ২৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো। আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৪০ হেক্টর বেশি। 
কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, গত রোপা আমন মৌসুমে মোট আবাদী জমির শতকরা ৩৫ ভাগ জমিতে ব্রী ধান ৩৪ (জিরা কাটারী) আবাদ করা হয়েছিলো। এক বছরের ব্যবধানে শতকরা ২৫ ভাগ বেড়ে হয়েছে ৬০ ভাগ। 
কৃষি অফিস সূত্র আরো জানায়, এখানে ব্রী ধান ৩৪ প্রতি ৩৩ শতকের বিঘা জমিতে ১৩ মণ ফসল পাওয়া গেছে। বাজারে এ ধান কেজির মণে এক হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি অফিস সূত্র আরো জানায়, নতুন এ ধানের কাটা মাড়াই এখন শেষ পর্যায়ে। এবার উচ্চ ফলনশীল নতুন এ জাত ধান থকে ৮৬ হাজার মেঃটন চাল পাওয়া যাবে বলে কৃষি অফিস সূত্রে বলা হয়েছে। 
উপজেলার মনমথপুর ইউনিয়নের কৈবর্ত পাড়ার কৃষক ও পার্বতীপুর ডিগ্রী কলেজের সহযোগী অধ্যপক মোঃ আতাউর রহমান বলেন, ব্রী ৩৪ ধানের ফলন বেশি, বাজারে দাম বেশী, সুগন্ধিযুক্ত পোলাওয়ের চাল হিসেবে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। একারনে এ অঞ্চলের কৃষক নতুন এ ধান চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে। হাবড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম ও অনুরুপ কথা বলেছেন। ধান ব্যবসায়ী বাদল বলেন, বিদেশে রপ্তানী হওয়ার কারনে নতুন এ জাত ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে। 
 

শেয়ার করুন

0 facebook: