রাজনৈতিক সংকটের জেরে এক অভিনব ঘটনা
ঘটেছে গাম্বিয়ায়। গাম্বিয়া সরকার উপহার পেল একজোড়া ফার্স্ট লেডি। দেশের
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আদামা বারৌর দুই স্ত্রী৷ দুজনকেই তাই ফার্স্ট
লেডির তকমা দেয়া হচ্ছে।
অবশ্য
রাজনৈতিক টালমাটাল প্রক্রিয়ায় আদামা বারৌ গাম্বিয়া ঢুকতে পারেননি। তিনি
রয়েছেন প্রতিবেশী দেশ সোমালিয়ায়। সেখান থেকেই দুই স্ত্রীর ছবি দিয়ে টুইট
করেছেন। শুক্রবার সোমালিয়ার রাজধানী ডাকার শহরের গাম্বিয়া দূতাবাসেই তিনি
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।
গাম্বিয়ার
একনায়ক শাসক ইয়াহিয়া জামেহ প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত
ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হয়েছেন। শুক্রবার গাম্বিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে
সামরিক অভিযান চালায় সেনেগাল সরকার। তাদের সমর্থন করে জাতিসংঘ ও আফ্রিকান
ইউনিয়ন। সোমালিয়ার সেনাবাহিনী অবস্থান করছে গাম্বিয়ার রাজধানীর বানজুলে।
অন্যদিকে গাম্বিয়ার উপকূল এলাকায় নাইজেরিয়ার নৌবাহিনী মোতায়েন রয়েছ।
শুক্রবার
প্রবল রাজনৈতিক টানাপোড়নে উত্তপ্ত ছিল গাম্বিয়া। নির্বাচনে হেরে গিয়েও
কিছুতেই গদি ছাড়বেন না বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন একনায়ক ইয়াহিয়া জামেহ। গত ২২
বছর তিনি দেশের ক্ষমতায় ছিলেন। ১৯৯৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি
ক্ষমতায় এসেছিলেন। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করাতে
বাধ্য হন। জারি করেন জরুরি অবস্থা। নির্বাচনে হেরে গিয়েই ক্ষমতা ছাড়তে
অস্বীকৃতি জানান ইয়াহিয়া জামেহ। অগত্যা প্রতিবেশী সেনেগাল সরকার গাম্বিয়ার
রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে।
সেনা
বাহিনী অসন্তোষে ফুঁসছিল। তারাও নির্বাচনে বিজয়ী আদামা বারৌর নির্দেশে
অস্ত্র নামিয়ে নেয়। গাম্বিয়ার মাটিতে শুরু হয় সামরিক অভিযান।
খবর বিভাগঃ
international
0 facebook: