Thursday, January 26, 2017

শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় জনতার বিহ্মুবে ডিবি পুলিশের একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুরের পর আটকে রাখে পুলিশ

আশিকুর রহমান সবুজ,শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
ডিবি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যার পর শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায়  জনতার বিহ্মুবে ডিবি পুলিশের একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুরের পর আটকে রাখে সয়ং একদল পুলিশ বাহিনীকেও।
পরে টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে ডিবির প্রতি হ্মিপ্ত হওয়া জনতা।
স্থানীয়রা জানান, গত দু’দিন আগে ডিবি পুলিশ মাওনা চৌরাস্তার আল-আমিন ফুড কারখানায় গিয়ে মুড়িতে সার মেশানো হয় এমন অভিযোগে মালিকের দুই ছেলেকে আটক করে। পরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দুজন কেই ছেড়ে দিয়ে যায়।
বুধবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই খাইরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আবার ওই কারখানায় আসে। পরে একই অভিযোগে আবারও টাকা দাবি করে। খবর পেয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ডিবি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নেমে আসে এবং পুরনো টায়ার ও কাঠ দিয়ে আগুন ধরিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে।
একপর্যায়ে ডিবি পুলিশের মাইক্রোবাস ভাঙচুর ও কারখানার ভিতরে ডিবি পুলিশকে অবরোধ করে রাখে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ডিবি পুলিশের হয়রানিতে মাওনার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। প্রতিদিন ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে নয়তো বাসায় অবৈধ গ্যাসলাইন রয়েছে এমন হ্মুদ্র অভিযোগে সাধারণ মানুষকে আটক এবং হয়রানির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ডিবি। এভাবে গত ৪-৫ মাসে অন্তত ৫০০ লোককে আটক করে হয়রানি করেছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছেন।
ডিবি পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, আসামি গ্রেফতার করতে গেলে জনতা ডিবি পুলিশের ওপর হামলা করে। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশ ও গাজীপুর ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে ১ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল এএসপি) তোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাংবাদিকদের জানান, ডিবি পুলিশের কোন সদস্য অন্যায় কজে জড়িত প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় তিনি মাইকে জনতার উদ্দেশে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। পরে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

শেয়ার করুন

0 facebook: