কালুখালীর ২ যুবক বিদেশ গিয়ে সর্বশান্ত ॥ পুলিশ সুপার রাজবাড়ীর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের
অপু রায়হান ॥ সংসারের অভাব অনাটন দুর করার লক্ষ নিয়ে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউপির করকলিয়া গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে জাকির হোসেন (নবাব) ও একই ইউপির মেররা গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে রব্বেল (৪০)।একই এলাকার আদম ব্যবসায়ী করকলিয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন এর মাধ্যমে তারা কাতার দেশে যায় সেখানে গিয়ে কাজ না পেয়ে অবশেষে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে জমি জায়গা বিক্রি করে বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন তুলে বিদেশ গিয়ে পূনরায় ফেরে এসে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছে ওই যুবকদের পরিবার। গতকাল শুক্রবার কথা হয় বিদেশ ফেরত ২ যুবকের সাথে জাকির হোসেন নবাব বলেন সেখানে নিয়ে আমাদের কোন কাজ দিতে পারেনি নাসিরের ভাই রফিক। তিনি আরো বলেন রফিক সেখানে কোন কাজ করেনা ওই দেশের ভিসা দিয়ে আমাদের মত সহজ সরল মানুষের সাথে পতারনা করে সেখানে আরাম আয়েশে জীবন যাপন করছে সে সেখানে অবৈধ মেয়ে মানুষ দিয়ে ব্যবসায় করে আসছে দির্ঘদিন ধরে। জাকির সম্প্রতি তার মোবাইল ফোনে একটি মেয়ের সাথে ওই রফিকের আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে এ প্রতিবেদকে বলেন তার এটাই ব্যবসায়। ক্ষতিগ্রস্ত অপর যুবক রব্বেল বলেন সেখানে আমরা যে কয়দিন ছিলাম খাওয়ার কষ্ঠসহ সকল প্রকার কষ্ঠ করে অবশেষে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি,এমনি আমরা ২জনই বাড়ী থেকে টাকা নিয়ে টিকিট করে আসতে হয়েছে আমাদের। আমরা এখন দেশে এসে কিস্তির টাকাসহ ধার দেনা পরিষদ করতে পারছি না। জাকির আরো বলেন ৩ পাখি জমি বন্ধক রেখে ও ২লক্ষ টাকা লোন করে নাসিরের নিকট দিয়ে কাতার গিয়ে সম্পূন্য প্রতারিত হয়েছি। অপর দিকে রব্বেল বলেন আমাকে কাতারে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা করে বেতনের কথা বলে আমার নিকট থেকে ৫লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিল আমি আমার ১৭শতাংশ জমি বিক্রি করে ও ২লক্ষ টাকা লোন করে তাদের দিয়েছিলাম। বব্বেল বলেন শুধু আমরাই নয় আরো যারা নাসির রফিকের মাধ্যমে কাতার গিয়েছে তারও ভাল নেই আমাদের এলাকার হোগলাডাঙ্গী গ্রামের মৃত এতেম খার ছেলে সাহেব আলী ও একই এলাকার মোয়াজ্জেম বিশ্বাস তারা বাড়ী থেকে টাকা নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে মৃত নাদের হোসেন এর ছেলে রফিক নিজে কাতার থাকায় ওই এলাকা থেকে ২০ জনের অধিক লোককে কাতারে নিয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে মৃগী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান সাগর মোল্লা বলেন আমার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল আমি উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে ডেকে ছিলাম বাদী পক্ষ আসলেও বিবাদীরা আসেনি তাই নিয়ম অনুযায়ী তাদের লিখিত শালিল নামা প্রদান করেছি এবং যদি তারা বিদেশ গিয়ে প্রতারিত হয় প্রমান সাপেক্ষে তার সুষ্ঠ সমাধান কামনা করি। ইতি মধ্যে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করায় বিষয়টি কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম ফকির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানাগেছে। জাকির ও রব্বেল বলেন আইনের প্রতি আমাদের পূন্য আস্থা রয়েছে আইনের মাধ্যমে যেটি হবে আমরা তাই মেনে নেব তবে এ প্রতারকের সর্বউচ্চ শাস্তি কামনা করি। এদিয়ে অভিযুক্ত রফিকের ভাই নাসির বলেন এটা আমাদের বিরুদ্ধে একটি সড়যন্ত্র যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা একজন ৯মাস ও ১১মাস সেখানে থেকে আসছে স্থানীয় একটি চক্র তাদের নিয়ে ফায়দা লুটার জন্য এসব করে বেরাচ্ছে।
খবর বিভাগঃ
পাংশার খবর
0 facebook: