আগামী ২৫শে আগস্ট ২০১৭, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তন জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে । প্রায় দেড় ঘন্টার নাটকটির নোবেল বিজয়ী মিশরীয় ঔপন্যাসিক নাগিব মাহফুজের “অ্যারাবিয়ান নাইট্স অ্যান্ড ডে’জ” অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন রাফিক হারিরি । নির্দেশনায় আছেন কণ্ঠশীলন প্রশিক্ষক, নির্দেশক, অধ্যক্ষ মীর বরকত , মঞ্চসজ্জা, পোশাক ও আলোক পরিকল্পনায় আছেন ফয়েজ জহির, সঙ্গীত পরিকল্পনা ও সুর সংযোজন করেছেন শিশির রহমান, কোরিওগ্রাফী করেছেন আমিনুল আশরাফ । যাদুর লাটিম নাটকের মঞ্চের পেছনের নায়কদের নিয়ে ইন্টারনেট অবলম্বনে লিখেছেন – শারমিন ইসলাম
নাগিব মাহফুজনাগিব মাহফুজ ১৯১১
সালের ১১ ডিসেম্বর কায়রোর গামালিয়া কোয়ার্টারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকাশিত
উপন্যাসের সংখ্যা ৩৪, ছোটগল্প
৩৫০টি। আরও লিখেছেন ৫টি নাটক ও অনেক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য। তার অনেক গল্প নিয়ে
মিসর ও বিভিন্ন দেশে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।নাগিব মাহফুজ ১৭ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করেন। তার প্রথম
উপন্যাস প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ সালে। ১৯৫২ সালের জুলাইয়ের মিসরীয় বিপ্লবের আগে তার
১০টির বেশি বই প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি বেশকিছু বছর লেখালেখি বন্ধ রাখেন। ১৯৫৩ সালে
একটি উপন্যাস পুনঃপ্রকাশ হয়। ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত ‘কায়রো ট্রিলজি’ তাকে সারাবিশ্বে পরিচিত করে তোলে। বই
তিনটির ইংরেজি নাম ‘বিটুইন
দ্য প্যালেসেস’, ‘প্যালেস অব লঙিং’
ও ‘সুগার হাউস’।
এখানে আরব বিশ্বের শহুরে জীবনযাপনের চিত্র ফুটে উঠে। ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত ‘চিল্ড্রেন অব গেবেলাই’ দিয়ে তার লেখালেখিতে পরিবর্তন আসে। রূপক
ও প্রতীকের মাধ্যমে রাজনৈতিক বিষয়াদি লেখায় তুলে ধরেন। এ সময়ে প্রকাশিত
উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো ‘দ্য
থিফ এ্যান্ড দ্য ডগস’ (১৯৬১),
‘অটাম কুয়াইল’ (১৯৬২), ‘সাম
টক অন দ্য নাইল’ (১৯৬৬) ও ‘মিরামার’ (১৯৬৭)। এ ছাড়া রয়েছে উল্লেখযোগ্য কিছু ছোটগল্প। তার কিছু গল্প,
উপন্যাস বাংলায় অনূদিত হয়েছে।১৯৭২ সাল পর্যন্ত নাগিব মাহফুজ সরকারি চাকরিতে কর্মরত ছিলেন।
প্রথমে কাজ করেন মিনিস্ট্রি অব এনডাউমেন্টে। পরে ব্যুরো অব আর্টের সেন্সরশিপ ও
ফাউন্ডেশন ফর দ্য সাপোর্ট অব দ্য সিনেমার পরিচালক এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের
কালচারাল এ্যাফেয়ার্সের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। মিসরের লেখক নাগিব মাহফুজকে বিবেচনা করা
হয় সমকালীন আরবি সাহিত্যের প্রথমদিককার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক হিসেবে।
১৯৮৮ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ৭০ বছরের লেখালেখির ক্যারিয়ারে
তিনি ৫০টির বেশি উপন্যাস, সাড়ে
তিনশ'র বেশি গল্প এবং কয়েক
ডজন চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি লিখেছেন। ১৯১১ সালের ১১ ডিসেম্বর মিসরের কায়রোতে
জন্মগ্রহণ করেন নাগিব মাহফুজ। ২০০৬ সালের ৩০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
রাফিক হারিরি
রাফিক হারিরি জন্ম গ্রহন করেন ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ ঢাকার
নয়াটোলা মধুবাগ। রাফিকের শৈশব-কৈশোর-যৌবন তিনটা কালই কেটেছে নয়াটোলার গুপচি
গলি আর প্রচণ্ড মানুষের ভিড়ের ভেতর দিয়ে। পূর্বপুরুষের আদিবাস ঢাকার নারায়নঞ্জ ও
নরসিংদী। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে। সাহিতে্যর রফিক হারিরি কাজ করার জন্য বেছে
নিয়েছেন ছোট গল্প , উপন্যাস , এবং অনুবাদ সাহিত্যকে
। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উপন্যাস পান্থজন , ছোট গল্প কৈলাসপুরের হাটে ও শিশুতোষ
গল্পগ্রন্থ ছোটন ও ভুত গাছ , মোবাইল দৈত্য উল্লেখযোগ্য । অনুবাদ করেছেন নাগিব
মাহফুজের ভিখারি , জন স্টেইন বেকের দ্যা পার্ল , মারিও পুজোর দ্যা ফোঁৎ কে ,
ইসমাইল কাদিরির দ্যা পিরামিড , পুতগিজ লেখক হোশে এডওয়ার্ড আগালুসার দ্যা ক্রেওল ,
অষ্ট্রলিয়ান ঔপন্যাসিক দিবিছি পিয়রের দারবন গড লিটল সহ বিশ্ব সাহিত্যের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য
গ্রন্থ । লেখালেখির শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে । তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অবসর
সময়টুকুতে বিচিত্র রকমের বই পড়া শুরু করেছিলেন । ম্যাক্সিম গোর্কির একটা বই
পড়েছিলাম 'আমার ছেলেবেলা' পড়ার পরেই টের পেয়েছিলেন নিজের ভেতরের জগত্টা কিভাবে পাল্টে যাচ্ছে । সব
সময় গোর্কির ছেলেবেলার সেই ঘোরটুকুই তাড়া করে বেড়াত', এই ঘোরের বশেই একটা সময় লেখালেখির জগতের বাসিন্দা হয়ে গেলেন
রাফিক হারিরি। বিজ্ঞান নয়, চিত্রকলা
নয়, তার আগ্রহ কেবল
মানুষের হাসি-কান্নার জীবন আর তাদের সুখী হওয়ার গল্প। 'রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,
মানিক বন্দোপাধ্যায় শুরুতে এরাই ছিলেন
তার গল্প বলার আদর্শ। তার প্রথম লেখা 'জলকণা'
গল্পটি ছাপা হয় পর্ব নামের লিটল ম্যাগে।
একুশে বইমেলাতে পত্রিকাটি ছাপা হয়েছিল। এটা ছিল ২০০৫-এর ঘটনা। জীবনের অলৌকিকতায়
তিনি খুব খুশি এখন। কারণ এখন তার বইয়ের সংখ্যা ত্রিশে পেরিয়েছে অনেক আগে । রাফিক
হারিরি গল্প, উপন্যাস ও অনুবাদ সাহিত্যকে প্রধান মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন । এই
তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ।
মীর বরকত
আত্মপ্রচারবিমুখ,
নিরলস কর্মদ্যোমি, প্রাণোচ্ছল ও সহিষ্ণু আত্মপ্রত্যয়ী
অমায়িক মানুষ মীর বরকত। মীর বরকত ১লা জুলাই ১৯৫৮ সালে সংস্কৃতি সমৃদ্ধ ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ
করেন । তার পুরো নাম মীর বরকতে রহমান। তার বাবা মীর মসুদার রহমান একজন শিক্ষিত
সমাজ দরদী মানুষ এবং মা রশিদা বেগম। মীর বরকত পারিবারিক জীবনেও একজন সফল মানুষ।
তাঁর স্ত্রী শামীমা আখতার বেগম একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা। তাঁরা
তিন সন্তানের জনক-জননী। পুত্র মীর শরীয়তে রহমান নিবিড় ফ্লিম অ্যান্ড মিডিয়া নিয়ে
স্নাতক পড়ছেন । কন্যা শ্রেয়সী রহমান পড়ালেখার পাশাপাশি কল্পরেখা নামক একটি
প্রতিষ্ঠানে সঙ্গীতে শিক্ষকতা করছেন ।কনিষ্ঠা কন্যা অচিয়া রহমান পড়ালেখা করছেন ।
তিন সন্তানই আবৃত্তি ও সঙ্গীতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে পুরস্কৃত হয়েছে
এবং পদক লাভ করেছে।
মীর বরকত পেশাগত
জীবনে দেশের বৃহৎ একটি ব্যাংকের একজন সহকারি মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ।
পেশাগত জীবনেও সাফল্য তাঁকে আহ্বান করেছে যথা সময়েই। আর তা সম্ভব হয়েচে তাঁর
নিষ্ঠা-সততা ও একাগ্রতার জন্যই। যোগ-বিয়োগ-পূরণ-ভাগের মত কঠিন পেশায় নিয়োজিত থেকেও
সাংস্কৃতিক-প্রয়োগিক চর্চায়-নির্দেশনায় প্রশিক্ষণদানে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে
স্বগৌরবে দীর্ঘকাল তাঁর বিচরণ যেমন মুগ্ধ করে, ঠিক তেমনি বিস্মিতও করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক
কেন্দ্রে সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠান ‘কণ্ঠশীলন’।
এর জন্মলগ্ন থেকেই মীর বরকত প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত আছেন। বর্তমানে তিনি উঁচু
স্তরের একজন শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি প্রশিক্ষক। তাঁর প্রশিক্ষণদান কৌশল
প্রশিক্ষণার্থীদের মুগ্ধ করে।ব্যক্তিমানুষ মীর বরকত নিরহংকারী এবং বন্ধু বৎসল
বিধায় আমাকে বন্ধুর মতই অধিকার দিয়েছেন। তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে ঢাকায় কণ্ঠশীলন, বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র,
স্বরকল্পন, স্বরশীলন, ঢাকা
স্বরকল্পন, স্বরবৃত্ত, চারুকণ্ঠ, আবৃত্তি একাডেমি, আবৃত্তিশীলন,
হৃদয়বৃত্তি, কণ্ঠবুয়েট, পাঠশালা,
প্রকাশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন,
আবৃত্তি অঙ্গন, ধ্বনি (জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়),
মিথস্ক্রিয়া (মিরপুর) ইত্যাদি ছাড়াও
চট্টগ্রামে বোধন, থিয়েটার ওয়ার্কশপ ও
নতুন কুঁড়ি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল। কুমিল্লায় আবৃত্তি সংসদ, চারণ, সেঁজুতি এবং তীর্থ। ময়মনসিংহে আবৃত্তি নিকেতন, শব্দ এবং পিলসুজ। টঙ্গীতে বিবর্তন,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমি।
খাগড়াছড়িতে উজানী ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ (ফেনি), মৃত্তিকা। এসব সংগঠনে তিনি নিরলস ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং
দিচ্ছেন।প্রাতিষ্ঠানিক ও
অতিথি প্রশিক্ষক হিসেবে তিনি যুক্ত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি (ঢাকা),
শিল্পকলা একাডেমি (সুনামগঞ্জ), বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ,
নাট্য শিক্ষাঙ্গন, মুক্তালয় নাট্যাঙ্গন ও আবৃত্তি বিকাশ
কেন্দ্র, তৈরি (সংবাদ
উপস্থাপনা ও রিপোর্টিং), বিয়াম
কালচারাল সেন্টার।বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মীর বরকত আবৃত্তি প্রযোজনা ও কাব্য
নাটক নির্দেশনা করেছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক।তাঁর নির্দেশনায়
কণ্ঠশীলন প্রযোজনা তপস্বী ও তরঙ্গিণী, রচনা-বুদ্ধদেব
বসু, রবি ঠাকুর কবি ঠাকুর,
রচনা-সুনীল জানা, আমিনা মদিনার গল্প, গল্প রচনা-সেলিনা হোসেন, রোমিও জুলিয়েটের গল্প, রচনা-নুরুল হুদা, অনাম্নী অঙ্গনা, রচনা-বুদ্ধদেব বসু, ওরা বেজে ওঠে শূণ্য প্রহরে এর গ্রন্থনার
কাজটিও করেছেন তিনি। মুক্তধারার ‘আবদারের
আধঘণ্টা গ্রন্থনা ও নির্দেশনা করেছেন মীর বরকত। ‘ভাষার
লড়াই’ রচনা রফিকুর রশীদ,
প্রযোজনা-কণ্ঠশীলন নির্দেশনা দিয়েছেন
তিনি। এ ছাড়া মুক্তালয় আবৃত্তি বিকাশ কেন্দ্রের রাজপুত্তুর ও রঙ্গ এর মহড়া চলছে।
এটিও গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এ কাজগুলোর প্রেক্ষিতে প্রশংসাও পেয়েছেন
অনেক।সম্প্রতি নাটকের
অঙ্গনে তিনি নাট্য নির্দেশক হিসেবে আলোচিত। (বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন
কর্তৃক অনুদানপ্রাপ্ত নাটক) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত রাজা-রানী (দল-কণ্ঠশীলন)
মঞ্চায়নের পর দর্শক শ্রোতার কাছ থেকে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করে।তাছাড়া মুক্তালয়
থিয়েটারের আয়োজনে একটি নাটক, মূল
গল্প-বনফুল নাট্যরূপ দিয়েছেন দীপক চৌধুরী, নির্দেশনা দিচ্ছেন মীর বরকত। নাটকটি মহড়া চলছে।মীর বরকত বেশ কটি
সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছেন। যেমন-উপদেষ্টা ও প্রশিক্ষক ‘কণ্ঠশীলন’, পরিচালক-শিশুতীর্থ, সহ-সভাপতি-সোনালী
ব্যাংক ক্রীড়াবিদ ও শিল্পী কল্যাণ পরিষদ, সদস্য-ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তন এবং সদস্য নরেন বিশ্বাস পদক
মনোনয়ন কমিটি। যে বিষয়েই তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত করেন সে বিষয়েই তিনি আন্তরিক।কণ্ঠশীলন
অনুষ্ঠানে আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ টেলিভিশন সহ অনেকগুলো
চ্যানেলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায়, যেমন-এনটিভি, বাংলাভিশন,
চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা, চ্যানেল
ওয়ান ইত্যাদি চ্যানেলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি, আলোচক ও আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। লক্ষণীয় যে
বাংলাদেশের প্রথম আবৃত্তির প্যাকেজ অনুষ্ঠান ‘রবিঠাকুর কবি ঠাকুর’ এর নির্দেশক মীর বরকত যেটি রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে
বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে প্রচারিত হয়েছিলো।বিরামহীন সাংস্কৃতিক পথচলার মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধাভাজন মীর
বরকত নাট্যশিক্ষাঙ্গন থেকে ১৯৮৩ সনে এক বছরের নাট্য বিষয়ক সার্টিফিকেট কোর্স
করেছেন। এবং গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৪ সনে সংবাদ উপস্থাপনা ও রিপোর্টিং কোর্স
করেছেন।জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে তিনি কাজে লাগাতে চান। আর সেই লক্ষ্যেই ছুটে চলেন
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। কোথাও আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে, কোথাও প্রশিক্ষক, কোথাও
নাট্যশিল্পী হিসেবে, কোথাওবা
নির্দেশক। তাঁর এই কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিও তিনি পেয়েছেন ও পুরস্কৃত হয়েছেন বহুবার।
শ্রেষ্ঠ নির্দেশক হিসেবে ঢাকায় স্বরকল্পন আবৃত্তি চক্র কর্তৃক পদক প্রাপ্ত হয়েছেন।
আবৃত্তি অঙ্গন ঢাকা কর্তৃক অপু সম্মাননা পদক পেয়েছেন, আনন্দমোহন কলেজ হতে শ্রেষ্ঠ বক্তা পদক, একই কলেজ থেকে অভিনয়ে বিশেষ সম্মান পদক
এবং নাট্য নির্দেশনার জন্য ‘আমরা
কতিপয় নাট্যগোষ্ঠী (ময়মনসিংহ) কর্তৃক পদক প্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি কণ্ঠ শীলন
প্রযোজিত নাটক যাদুর লাটিম নির্দেশনায় আছেন । ফয়েজ জহিরফয়েজ জহির দীর্ঘদিন
ধরেই থিয়েটার নিয়ে কাজ করছেন । পোষক ,মঞ্চ
ও আলোক পরিকল্পনা পরিকলনা
ছাড়াও নাটকের নির্দেশনাও দিয়েছেন । বাঙলা থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা মানুষ ছাড়াও একটি
জনপ্রিয় প্রযোজনা চে’সাইকেল।
শহীদুল মামুনের লেখা একক নাটক দি ডিসটেন্ট নেয়ার-এর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি ।মঞ্চে
তিনি আলো, সেট ও নির্দেশনা—তিনটি কাজকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে করে
থাকেন । কারণ, আলোর একটা ভাষা আছে,
সেটের একটা ভাষা আছে, তারপর অভিনয়—সব মিলিয়ে এই থিয়েটার। তবে নির্দেশনার ক্ষেত্রে আগ্রহটা একটু
বেশি । তার নির্দেশিত হচ্ছে - ঊর্ণজাল, কৈবর্তগাথা, চের সাইকেল, ডিসটেন্ট
নিয়ার, মানুষ, তির্থঙ্কর, বহে প্রান্তজন, হক্কানির
গ্রন্থনা ইত্যাদি। আলোক পরিকল্পনা করেছন রাঢ়াঙ, রথের রশি, রক্তকরবী,
তীর্থঙ্কর, শ্যামা প্রেম, আমিনা
সুন্দরী ইত্যাদি নাটকের। সেট পরিকল্পনার কাজ করেছন একশত বস্তা চাল, রক্তকরবী, রথের রশি, ত্রয়লাস
ও ক্রেসিদা, কোপেনিকার ক্যাপ্টেন
এবং প্রাঙ্গণে মোরের নতুন নাটক আওরঙ্গজেব-সহ আর অনেক নাটকের । মঞ্চ ছাড়াও তিনি ছোট
পর্দায় সমান ভাবে কাজ করে চলছেন । বর্তমানে যাদুর লাটিম নাটকে পোষক ,মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা পরিকলনায় কাজ করছেন ।
শিশির রহমানএকাধারে অভিনেতা,
নাট্য নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক ও শিল্পী শিশির রহমান।
প্রাঙ্গণে মোর নাট্যদলের সাথে কাজ করার পাশাপাশি অন্য দলের হয়েও তিনি কাজ করে
থাকেন। এম এ খান মুকুল পরিচালিত ‘ভাঙ্গামন’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেছেন । এ ছবির গানের কথা
লিখেছেন আকতারুজ্জামান খান চিনু। নাট্যবিন্দুর নতুন প্রযোজনা ‘চাকভাঙ্গা মধু’ নাটকে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন । এছাড়া
সিরাজগঞ্জের নাট্যলোকের ‘নারী
নসিমন’ নাটকের সঙ্গীত পরিচালনা
করেছন ।
শিশির রহমান প্রাঙ্গণে মোরের একজন সদস্য হিসাবে শুরু থেকেই কাজ
করছেন । দলের প্রতিটি প্রযোজনায় অভিনয় করার চেষ্টা করেন । এর বাইরে নাট্যম রিপোর্টারি
থিয়েটারের হয়েও অভিনয় করেছেন । শিল্পকলার প্রযোজনায় যাত্রাপালায় অভিনয় করেন । তার নির্দেশিত
নাটক নাট্য প্রয়াসের ‘মানুষ এবং’ ও ‘সুবচন
নির্বাসনে’। এ যাবত ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে এ পর্যন্ত
১৫টি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন । তবে সময়ে অভাবে অনেক দলের সঙ্গেই কাজ করা হয়ে উঠে
না তাঁর । সঙ্গীত পরিচালনা করা নাটকের সংখ্যা আরো বেশি। অন্তত ১৯ টির বেশি নাটকে মিউজিক ডিরেকশনের কাজ করেছেন । এর মধ্যে প্রাঙ্গণে
মোরের ‘লোকনায়ক’, নাট্য প্রয়াসের নতুন একটি নাটক, পদাতিক নাট্য সংসদের ‘ম্যাকবেথ’, দ্যাশবাংলা থিয়েটারের ‘শারস পাখির ডানা’ নাটকের
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজ উলেখজজ্ঞ ।
আমিনুল আশরাফ
শিশির আমিনুল আশরাফ নিজ দল মহাকাল ছাড়াও বিভিন্ন নাটকে কোরিওগ্রাফী করেছেন । সম্প্রতি তিনি নীলাখ্যান নাটকে অভিনয় করে বাপক প্রশংসা অর্জন করেন । মঞ্চ ছাড়া
ছোট পর্দার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সাথে জরিত আছেন ।
খবর বিভাগঃ
entertainment
0 facebook: