কণ্ঠশীলনের প্রযোজনা “কঙ্ক ও লীলার” সফল মঞ্চায়ন ।
শারমিন ইসলাম
কঙ্ক লীলার প্রেমের উপাখ্যান,আজি করিব বর্ণন,
প্রেম বিরহে সকলে আঁধার তোমরা রাখিও স্মরণ । হা হা হা………. হু হু হু………।
গানের সুরে সুরে দর্শক আসন গ্রহণ করেন । শুরু হয় কণ্ঠশীলনের নতুন আবৃত্তি প্রযোজনা কঙ্ক ও লীলা । ঐতিহ্যবাহী মৈমনসিংহ গীতিকা থেকে নেয়া রুপক ও প্রণয়মূলক আখ্যান “কঙ্ক ও লীলা” । এই প্রযোজনারটির নির্দেশনার দায়িত্ব পালন করছেন কণ্ঠশীলনের তরুণ নির্দেশক লিটন বারুরী । প্রায় এক ঘণ্টার প্রযোজনাটির সঙ্গীত নির্দেশনা দিয়েছেন মনামী ইসলাম কনক । কোরিওগ্রাফী করেছেন এস, এম, জাহাঙ্গীর আলম রনি , আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন অম্লান বিশ্বাস , ঢোল বাজিয়েছেন রামকৃষ্ণ মিত্র হিমেল ও বাঁশিতে ছিলেন ফাইজুর রহমান । গত ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে “কঙ্ক ও লীলার” সফল মঞ্চায়ন হয় ।
মৈমনসিংহ গীতিকা আখ্যানের অধিকাংশ গাঁথাই মানুষের মনের সাথে গেঁথে আছে । সুপরিচিত ঐতিহাসিক ঘটনা নির্ভর কাহিনী ,কঙ্ক ও লীলার জীবন থেকে নেওয়া । কঙ্ক গুরুর আশ্রমে থাকতেন। আশ্রমে থাকা অবস্থায় গুরুর মেয়ে লীলার প্রেমে পড়েন কঙ্ক ।কিন্তু সেই প্রেমের বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কার ।আশ্রম ত্যাগ করতে হয় কঙ্ককে । এদিকে লীলা কঙ্কের বিরহে আহার- নিদ্রা ত্যাগ করে ।তাঁর পথ চেয়ে থাকতে থাকতে একদিন মৃত্যুকে বরণ করতে হয় লীলার । তাঁর মৃত্যুর পর কঙ্ক আসেন আশ্রমে । দেখা মেলেনা আর ।এর পর শেষ বারের মত আশ্রম ত্যাগ করেন কঙ্ক ।
চন্দ্র কুমার দে ,এর সংগ্রহে ও শ্রী দীনেশ চন্দ্র সেনের সম্পাদনায় এই আবৃত্তি প্রযোজনায় চরিত্র রুপায়নে ছিলেন - মিফতাহুল জান্নাত নিপুন,সঞ্ছারী হালদার ,বিনীতা দাস,মিনহাজুল বশির শোভন, বিধান বাঁধন রায়,সায়েম খন্দকার, তাসনীম ইসলাম দ্যুতি,মুহাম্মাদ নাইম,রাজিয়া সুলতানা মুক্তা, মাহাবুবা নাজনীন খুশি ,খায়রুন নাহার সি্নগ্ধ, হালিমা নীলা, শারমিন ইস্লাম,হাফিজা খাতুন, মাসফিকা রহমান স্মরণী ।
খবর বিভাগঃ
entertainment
0 facebook: