Tuesday, January 9, 2018

বিরল উপজেলায় আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রির জমজমাট ব্যবসা চলছেই

বিরল উপজেলায় আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রির জমজমাট ব্যবসা চলছেই

তাজুল ইসলাম

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রির জমজমাট ব্যবসা চলছেই। এক শ্রেনীর অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের অসচেতনতায় কম মুল্যে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কিনে ইটভাটায় বিক্রি করে লঅভবান হচ্ছেন। আর জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা।এদিকে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার পর তা ট্রলিতে করে ইটভাটায় পরিবহনের জন্য পাকা ও কাঁচা রাস্তা কাটা হচ্ছে। এতে সড়ক ও রাস্তাগুলোর বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে হাজারো মানুষ।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশরাফুল আলম বলেন, বিরল উপজেলায় ৩১ হাজার হেক্টর আবাদি জমি আছে। এরমধ্যে তিন ফসলি জমি আছে ১২ হাজার ৮৯৪ হেক্টর, দুই ফসলি জমি আছে ১৭ হাজার ৫৫০ হেক্টর ও চার ফসলি জমি আছে ২৫০ হেক্টর।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগন জমির উপরিভাগের (টপ সোয়েল) মাটি না কাটার জন্য চাষিদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে করে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু চাষিরা অতিরিক্ত অর্থের আশায় ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের নিকট জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করে দেন।উপজেলার জয়হার গ্রামের কৃষক মাজেদুর রহমান বলেন, তাঁর দুই বিঘা জমির উঁচু-নিচু সমতল করছেন। তিনি ট্রলি প্রতি মাটি বাবদ একশ করে টাকা পান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি অফিসার জমির উপরিভাগের মাটি কাটতে নিষেধ করেছেন ঠিকই। কিন্তু জমি সমতল করতে এই জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করেছি। জমির উপরিভাগের মাটি সরিয়ে নেওয়ার পর ছাই দিয়ে জমির উর্বরতা শক্তি ফিরিয়ে আসবে বলে জানান।বিরল উপজেলায় ১৫ টি ইটভাটায় আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নিয়ে পাহার গড়ে তোলা হয়েছে।উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সামসুল আলম বলেন, মুলত ফসল উৎপাদনের জন্য শতকরা ৫ভাগ যে জৈব উপাদান দরকার, তা সাধারনত মাটির ওপর থেকে ৮ ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত থাকে। মাটি ব্যবসায়ীরা জমির উপরিভাগের দেড় থেকে তিন ফুট পর্যন্ত কেটে নিচ্ছে। এতে কেঁচোসহ উপকারী পোকামাকড় নষ্ট হচ্ছে। ফলে জমিগুলো দ্রুত হারিয়ে ফেলছে উর্বরা শক্তি। 


শেয়ার করুন

0 facebook: