Tuesday, January 16, 2018

শীতে বিপর্যস্থ পাংশার জন জীবন

শীতে বিপর্যস্থ পাংশার জন জীবন


মাসুদ রেজা শিশির 

 দেশে চলমান সত্যপ্রবাহে (শীতে) বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে পড়েছে রাজবাড়ী জেলার পাংশার জন জীবন। তীব্র শীতের সাথে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে ছিন্নমুল ও নি¤œ আয়ের মানুষ এবং স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

এছাড়া শীতে আয় রোজগার কমে যাওয়া ও কুয়াশায় গবাদি পশুর খাবার সংকটও দেখা দিয়েছে। এদিকে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র গুলোতেও শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীত জনিত রোগীর মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি, এর বেশির ভাগই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।চলতি সপ্তাহে পাংশাতে শীতের প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। কুয়াশায় দুপুরের আগে সূর্য্যরে দেখা মেলে না। দুপুর পড়ে যদিও সূর্য্য দেখা মেলে তাতে থাকে না কোন উত্তাপ। তাই দেখা যায় বিভিন্নস্থনে শিশু, যুবক, মধ্যে বয়স্ক ও বৃদ্ধারা শীত নিবারনের জন্য আগুন জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। এছাড়া শীতের পুরাতন কাপড়েরর বাজারে ভির জমাচ্ছেন অনেকে।রিকসা চালক বক্কর শেখ জানান, এবারের শীতে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। রিকসা চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে তার সংসারসহ যাবতীয় খরচ চালান কিন্তু এমন শীতে রিকসা চালানো খুব কষ্টকর। তারপরও রিকসা চালানোর জন্য বাইরে গেলে রাস্তায় তেমন লোকজন পান না। আর এই শীতের সাথে আছে বাসাত ও কুয়াশা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতেও অনেক কষ্ট হয়। এই নিজেদের পাশাপাশি শীতে গবাদি পশুর খাবার নিয়ে পড়েছেন আরেক সমস্যায়।কলেজ ছাত্র শাহ আলম জানান, এবার পাংশাতে অনেক শীত পড়ছে, যা এর আগে সে দেখে নাই। দিনে তো সূর্য্যরে দেখাই মেলে না কুয়াশায় ঢাকা থাকে সব তারপর আবাস বাতাস। এর মধ্যে কলেজে যেতে তার অনেক সমস্যা হয়।গৃহিনী ছালমা বেগম জানান, আজ কয়েকদিন পাংশাতে যে শীত পড়ছে তাতে ছেলে-মেয়ে নিয়ে পড়েছেন সমস্যায়। শীতে অনেক সমস্যা হচেছ ঠিকমত রান্না-বান্না করতে পারছেন না। সময়মত বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না।ব্যবসায়ী জিয়ারুল শেখ জানান, শীতে তো দুপুরের আগে ঘর থেকেই রেব হতে পারছেন না। তাহলে ব্যবসার কাজে যাবেন কিভাবে। এবছরের মত শীত এর আগে তিনি দেখে নাই।পাংশা সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা.নুরুল ইসলাম জানান, এবার শীত জনিত রোগে হাসপাতালের শিশু রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তার মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু বেশি। তাদের যে জনবল আছে সে জনবল নিয়ে যথাযথ ভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং পাশাপশি অভিভাবকদের ডায়রিয়া সর্ম্পকে সচেতন করছেন।



শেয়ার করুন

0 facebook: