Sunday, January 28, 2018

পার্বতীপুরে পানি সরবরাহ নিয়ে বিরোধ

পার্বতীপুরে পানি সরবরাহ নিয়ে বিরোধ 


এম এ আলম বাবলু

পার্বতীপুর উপজেলার পল্লীতে জমিতে পানি সরবরাহ নিয়ে বিরোধের কারনে ভরা বোরো মৌসুমে চাষাবাদ বিঘিœত হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের কৈর্বত্যপাড়া গ্রাম সংলগ্ন মাঠের জমিতে পানি সরবরাহের জন্য ২০০৯ সালে একটি ডিপ মেসিন স্থাপন করেন কৈর্বত্যপাড়া গ্রামের জনৈক কিশোর। এই ডিপের আওতায় থাকা ৭১ বিঘা জমিতে প্রতি বছরেই পানি সরবরাহ করা হলেও ২০১৭ সালে একই গ্রামের জনৈক গৌরাঙ্গ এই ডিপ মেসিনের ১৭২০ ফিট পূর্বে আর একটি ডিপ মেসিন স্থাপন করে জমিতে পানি সরবরাহ করতে থাকে। কিন্তু গৌরাঙ্গের ডিপ মেসিনের পানি সরবরাহ এলাকা বৃদ্ধির জন্য কোন রকম আল্টিমেটাম না দিয়েই কিশোরের তৈরীকৃত পানি সরবরাহের ড্রেন ভেঙ্গে নিজের ইচ্ছা মতো আন্ডার গ্রান্ডাউ পানি সরবরাহ লাইন তৈরী করছে। ফলে কিশোরের ডিপ মেসিন থেকে উত্তোলিত পানি সরবরাহ করতে না পারায় এলাকায় চলতি বোরো মৌসুমের চাষাবাদ বিঘিœত হচ্ছে। এ কারনে কৃকষদের মধ্যে চরম হতাশা নেমে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় গৌরাঙ্গের মেসিনের পানি সরবরাহ করার জন্য কিশোরের তৈরীকৃত পানি সরবরাহ ড্রেন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ফলে পানি সরবরাহ ড্রেন দিয়ে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকার কৃষকেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা কিশোরের ডিপ মেসিন থেকে পানি নিয়ে জমি চাষাবাদ করেছেন। কিন্তু গত বছর গৌরাঙ্গ ডিপ মেসিন বসিয়ে গোটা এলাকা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি তার ডিপ মেসিন থেকে কিশোরের ডিপ মেসিন এলকায় পানি সরবরাহের নামে কিশোরের পানি সরবরাহের ড্রেন ভেঙ্গে আন্ডার গ্রাউন্ড লাইন তৈরী করছে। এতে কিশোরের ডিপ মেসিন থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে য্ওায়ায় বোরো চাষের এই ভরা মৌসুমে আমরা চাষাবাদ করতে পারছিনা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের চারা। কৈর্বত্যপাড়া এলাকার কৃষক বাবু বিশ^াস, কমল চন্দ্র রায় ও ভবেশ চন্দ্র বিশ^াস জানান, ডিপ মেসিনের ড্রেন নিয়ে বিরোধের কারনে পানি সরবরাহ না পাওয়ায় বোরো মৌসুমে তারা চাষাবাদ করতে পারছেনা। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে যে কোন মূহুর্তে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে।  এ ব্যাপারে পার্বতীপুরের ডিআরডিপি’র সহকারী প্রকৌশলী বাসু দেব দে এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে ১৫২০ ফিট পার পর ডিপ মেসিন বসানো যাবে এবং যার যার এলাকায় পানি সরবরাহ করবে।উপজেলা বিএডিসি (সেচ) প্রকৌশলী দিদারুল জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত করেছি পরর্বতী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পার্বতীপুর মডেল থানার পরির্দশক (তদন্ত) ইমতিয়াজ আহাম্মেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। কমান্ডিং এলাকা নির্ধারন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। 




শেয়ার করুন

0 facebook: