Thursday, February 22, 2018

পার্বতীপুর ডিপো থেকে তেল সরবরাহ অব্যাহত

পার্বতীপুর ডিপো থেকে তেল সরবরাহ অব্যাহত


মনজুরুল আলম

দিনাজপুরের পার্বতীপুুর রেল হেড ডিপো থেকে উত্তরাঞ্চলের আটটি জেলা ছাড়াও বিভিন্ন পাম্প ও ডিলার-এজেন্টের কাছে জ্বালানী তেল সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, রেলপথ নির্ভর পার্র্বতীপুুর অয়েল ডিপোতে খুলনার দৌলতপুর ডিপো থেকে রেল পথে তেল আনা হয়। খুলনা থেকে তেলবাহী ট্যাংক ওয়াগনের রেক আসতে দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। ইতিপূর্বে রেল কর্তৃৃপক্ষ ৪টি তেলের রেক (প্রতি রেকে ৩০টি তেলবাহী ট্যাংক ওয়াগন) দিয়ে তেল পরিবহন করতেন। বর্তমানে রেল একটি রেক কমিয়ে দিয়ে ৩টি রেকের ৯০টি ওয়াগন দিয়ে তেল পরিবহন করছেন। এরপরও অন্যান্য ট্রেন ও পাওয়ার স্বল্পতার কারনে ধীরগতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং রেল কর্তৃপক্ষ সময় মতো ডিপোতে ট্যাংক ওয়াগন পৌছাতে না পারায় তেল সরবরাহ কাজ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। এর সময় ডিপোতে “তেল নাই, তেল নাই” গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। এ অবস্থায় দেখা যায় ডিপোতে তেল সংকট চলছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দেখা যায়, বাস্তব চিত্র উল্টো।
বিপিসি নিয়ন্ত্রনাধীন পার্বতীপুর রেল হেড অয়েল ডিপোন ইনচার্জ প্রকৌশলী হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ জানান, এ ডিপো থেকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই শত ট্যাংকলরীর মাধ্যমে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ লিটার ডিজেল তেল। আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত ডিপোতে মজুদ রয়েছে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার লিটার। তিনি বলেন, রেলের ট্যাংক ওয়াগন ঘাটতির কারনে খুলনা থেকে দেরিতে তেল ডিপোতে আসছে। এছাড়া গত ৪ জানুয়ারী ভারত ডিজেল তেলের একটি রেক এসেছিল আর আসেনি। এ তেল আসলেও কাজে লাগতো। এখানে  তেলের সংকট চলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে হেমায়েত উদ্দিন জানান, এখানে কোন সংকট নেই। ভারতে প্রতি লিটার তেলের দাম ২০ টাকা বেশি। বিধায় পাচার হওয়ার সম্ভাবনা যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য হিসেব নিকেশ করে তেল বিক্রি করা হচ্ছে এবং নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন, যারা নরমাল পিরিয়ডে তেল ডিপোর কাছেও আসেনি এখন মৌসুমে তারাও তেলের জন্য এসে হুড়োহুড়ি করছেন। আমাদের সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী ডিপোতে কোটি কোটি লিটার তেল মজুদ আছে। যে কেউ সেখান থেকে তেল নিতে পারেন। কিন্তু অনেকে গাড়ী ভাড়া বেশির কারনে সেখানে যায় না।
এ প্রসঙ্গে দিনাজপুর জেলা পাম্প মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক রওশন আলী সরকার জানান, কিছুটা সংকট চলছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিদিনই তেল নিয়েছি। তবে চাহিদা পুরন হচ্ছেনা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২৫ মার্চ নবনির্মিত পার্বতীপুর রেল হেড ডিপো থেকে উত্তরের ৮ জেলায় জ্বালানী তেল বিক্রি শুরু হয়।


শেয়ার করুন

0 facebook: