Monday, February 5, 2018

লালটিপ



লালটিপ
সাবিরা সুলতানা 


মোটা কাজলে সাজিয়ে আঁখিদ্বয়,
পদ-যুগল রাঙ্গিয়ে আলতায়,
দু-ভ্রুর মাঝখানে এঁকে দিত টিপটা।
শান্ত মুখশ্রীর মায়াবী স্নিগ্ধতা,
হাসিমাখা পূর্ণিমার চাঁদবদন,
কারণে-অকারণে সহসা রোদন,
পরিজন মনে এনে দিত শুধুই মুগ্ধতা।
সবে,দুরন্ত কৈশোর নিচ্ছে বিদায়,
রবি-ঠাকুরের বালাই বয়সটাও
যায় যায় করে যাচ্ছেনা তাও।
আড়মোড়া ভেঙ্গে যৌবন দোরগোড়ায়।
স্মীত হাসি যার,আনন্দে উদ্বেলিত
করিত আপন জনের প্রাণ,
সেই হাসিমুখ কেন হলো ম্লান?
আজ কোন ভয়ে সে ভয়ার্ত?
ওহে ধর্ষক, তুমি কতটা পাষাণ?
জানিবার চাহিছে আমজনতা।
কেমনে করিলে আয়ত্ত্ব এহেন বর্বরতা?
উন্মোচন কর তব বক্ষের বসন।
সীমারের সাথে আছে কি তোমার সদৃশ?
এতটুকু কাঁপেনি তব প্রাণ?আহারে!
গগনভেদী আর্তনাদ পৌছেনি কর্ণকুহরে?
তবে কি তুমি বধির?বিধিরে করনা কুর্ণিশ?
সদা লাস্যময়ীর নিঃষ্পাপ বদনখানা
তোমায় মনে করিয়ে দেয়নি,
তব ত্রয়োদশী ভগিনীর মুখখানি,
যার পথে ওৎ পেতে আছে হিংস্র হায়েনা?
যদি শেয়াল শকুনের মতো তব সম্মুখে
তব ভগিনীকেই ছিড়ে -খুবলে খায়,
ভেবেছকি মুখ লুকাবে কোথায়,
কি জবাব দেবে তব জননীকে?
সাজতে বড়ই ভালোবাসতো মেয়েটা।
তার সম্ভ্রম,স্বপ্নকে পদদলিত করে,
জীবনটাকে তুললে নারকীয় করে।
অনন্ত কালের জন্য লেপ্টে দিলে টিপটা।
সাধের লাল টিপটা,আহারে সবটা।


শেয়ার করুন

0 facebook: