পাংশা থেকে ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ গ্রাহকদের টাকা মেরে লাপাত্তা

পাংশা থেকে
ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ গ্রাহকদের টাকা মেরে লাপাত্তা

মাসুদ রেজা শিশির 

রাজবাড়ীর পাংশা শহরের কাজী মার্কেটে’র ২য় তলায় ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ নামক একটি প্রতিষ্ঠান সাধারন মানুষের অধিক মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা আত্বসাধ করে লাপাত্তা হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ গ্রহকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে,অনেকের সারাজীবনের সঞ্চয় সেখানে আমানত হিসাবে রেখে আজ তারা দিশে হারা। এ দিকে ২০ লক্ষ টাকা  ফিক্সট ডিপোজিট করা এক ব্যাক্তি রাজবাড়ীর আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলার বিবরনি থেকে জানাগেছে পাংশা উপজেলার বড়গাছী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মোল্লার ছেলে আব্দুল গফুর মোল্লা ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর  পাংশা অফিসে অফিসের কর্মকর্তা জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার অলংকারপুর গ্রামের মৃত অখিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল আলিম (বাবুল) ও পাংশা উপজেলার ঢেকিপাড়া গ্রামের সমশের শেখ অরফে সম’র ছেলে রিয়াজ হোসেন এর নিকট ২০১১ সালের ৮ মে  ০৫ বছর মেয়াদী ৫ লক্ষ টাকা, ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারী  ৫ বছর মেয়াদী ৫ লক্ষ টাকা,এবং ২০১৩ সালের ২ মার্চ ০৫ বছর মেয়াদী ১০ লক্ষটাকা মোট ২০ লক্ষ টাকা ফিক্সট ডিপোজিট করেন, সে টাকার প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি তার নিকট রয়েছে। পাংশা এলাকার অনেক মানুষের টাকা আত্বস্বাধ করে ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ রাতের আধারে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে লাপাত্তা হয়েছে। এ ঘটনায় মোঃ আব্দুল গফুর মোল্লা গত ২১ মার্চ ১০১৭ ইং তারিখে বাদী হয়ে ৩ জনকে আসমী করে রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মামলা নং-সিআর ৩৬৯/১৭ দঃবিঃ ৪০৬/৪২০/১০৯ মামলার পরপর্তী শোনাননীর তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ধায্য করেছেন আদালত। মামলার আসামীরা হলো ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার কমলেশ্বরদী গ্রামের আব্দুল মালেক অরফে আবু মিয়ার ছেলে ও ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার অলংকারপুর গ্রামের মৃত অখিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল আলিম (বাবুল) ও পাংশা উপজেলার ঢেকিপাড়া গ্রামের সমশের শেখ অরফে সম’র ছেলে রিয়াজ হোসেন। রিয়াজ ও বাবুল ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ পাংশা অফিসের ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর প্রতারানার স্বীকার হয়েছে অনেকেই সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে ধর্মপ্রাণ মানুষদেরকে ঠকিয়ে আসছে এরুপ নামধারী প্রতিষ্ঠান গুলো। গতকাল বুধবার পাংশা শহরের কাজী মার্কেটে’র ২য় তলায় ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর কার্যালয় এলাকায় গিয়ে তাদের অফিসের কোন দৃশ্য চোখে পড়েনি স্থানীয়রা জানান অনেক মানুষ সেখানে আসত দেখতাম হটাৎ একদিন দেখি তাদের অফিসে তালা দেওয়া এর পর এ অফিসের আর কাউকে দেখাযায়নি। স্থানীয়রা আরো জানান এখন প্রতিদিনই কেউ না কেউ এসে আমাদের কাছে জানতে চাই এ অফিসের লোকজন কোথায়। ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মালটি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করে তাদের মুঠোফোন গুলো বন্ধ পাওয়ায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

খবর বিভাগঃ পাংশার খবর সারাদেশ হামার পার্বতীপুর

শেয়ার করুন