Tuesday, March 20, 2018

আজীবন বহিস্কারের দাবীতে বিক্ষোভ মাছপাড়া ডিগ্রি কলেজে শিক্ষিকা লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক বহিস্কার


আজীবন বহিস্কারের দাবীতে বিক্ষোভ
মাছপাড়া ডিগ্রি কলেজে শিক্ষিকা লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক বহিস্কার


মাসুদ রেজা শিশির 

নিজের সহকর্মীকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা কমিটি একই সাথে ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

শিক্ষিকা লাঞ্চিত হওযার ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার কলেজ পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে,ওই সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজের মাকেটিং বিভাগের প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক মিয়াকে ০৩ মাসের জন্য সাময়িক বহিস্কার করা হযেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকে আজীবন বহিস্কারের দাবীতে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। কলেজ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নিজাম উদ্দিন পাইন বহিস্কার ও তদন্ত কমিটির হওয়ার  তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপরে কলেজ পরিচালনা কমিটির একাধীক সদস্য ও কলেজের শিক্ষকরা জানিয়েছেন মাছপাড়া কলেজের ইতিহাসে এরুপ ঘটনা এই প্রথম এটা অত্যান্ত দুঃখজন আমরা আমাদের প্রিয় কলেজে এরুপ অনাকাংক্ষিত ঘটনা আর দেখতে চাই না। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের মুঠোফোনে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর ফোন কেটে দেন পরে আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রসঙ্গত  সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের বাংলা প্রভাষককে অভিযুক্ত মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক মিয়া ওই শিক্ষিকার উপর চড়াও হয় একই সাথে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। লাঞ্চিত হওয়া শিক্ষিকা এ প্রতিবেদককে বলেন বেশ কিছুদিন ধরে ওই শিক্ষক তার সাথে বৈরী আচরন করে আসছিল সোমবার আমি শিক্ষক সম্মেলন কক্ষে বসে ছিলাম এসময় হটাৎ তিনি এ কক্ষে এসে আমাকে  অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং লাথি মেরে আমার চেয়ার থেকে ফেলে দেয় আমি বিষয়টি তাৎক্ষনিক অধ্যক্ষ সাহেবকে জানায়। কলেজের একাধীক শিক্ষক বলেন যাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে তিনি কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি, তার সাথে এরুপ আচরন করায় আমরা ক্ষুদ্ধ এ ঘটনার নৈপথে কি আছে তা খতিয়ে দেখে দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানায়। কলেজ পরিচালনা কমিটির এক সদস্য বলেন শিক্ষক প্রতিনিধি না হতে পেরে তৌফিকুল ইসলাম এরুপ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমার মনে হয় ইতি পূর্বে তিনি কলেজের গভর্নিং বোর্ডে আসার চেষ্টা করেছিল। কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখাযায় অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে,একই সাথে তৌফিকুল ইসলামকে কলেজর একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজর ওই শিক্ষকের সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করলে কলেজর একাধীক শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বলেন বিষয়টি আমাদের চেয়াম্যানকে জানানো হয়েছে তিনি না আসা পর্যন্ত ওই কক্ষ থেকে তাকে বের করা যাবে না বাইরে শিক্ষার্থীসহ বহিরাগতরা রয়েছে ওই শিক্ষককে পেলে অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এসময় ওই শিক্ষকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন পাইন বলেন এটা অত্যান্ত দুঃখ জনক এ ঘটনার সঠিক বিচার হবে বলে আমি বিশ্বাস করি ইতি মধ্যে কলেজ গভর্নিং বোর্ডের সদস্যরা বিষয়টি জেনেছেন তারাই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন।



শেয়ার করুন

0 facebook: