Saturday, March 31, 2018

পার্বতীপুরে সম্পত্তি কিনে বিপাকে একটি পরিবার

পার্বতীপুরে সম্পত্তি কিনে বিপাকে একটি পরিবার


মনজুরুল আলম

 দিনাজপুরের পার্বতীপুরে দুই একর সম্পত্তি কিনে চরম বিপাকে পড়েছে একটি পরিবারের লোকেরা। জানা যায়, উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পলাশবাড়ী ধুলাউধাল গ্রামের জাকির হোসেনের পুত্র আজাবুল হক ও আলমগীর হোসেন পার্শ্ববতী বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মৃত পবার উদ্দিনের পুত্র মামুনুর রশিদ ও নুর ইসলামের নিকট থেকে কবলা রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে গত বছরের পহেলা আগষ্ট দুই একর জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নম্বর ৬৩৫৫, মৌজা দক্ষিন পলাশবাড়ী, দাগ নং ৫২। জমি কেনার পর থেকে তারা ভোগদখল করতে থাকেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার দিকে একই গ্রামের আঃ রহিম সরকারের পুত্র হাবিবুর রহমান তার ভাইয়েরা সহ দলবল নিয়ে উক্ত জমি জবর দখলের জন্য গেলে আজাবুল হকরা এসবের কারন জানতে ও তাদের বাধা নিষেধ করলে হাবিবুরেরা তাদের এলোপাতারি মারপিট করে মহিলাসহ ৬ জনকে আহত করে। গ্রামের লোকেরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেয়। আহতদের চিকিৎসা শেষে পরদিন বৃদ্ধ জাকির হোসেন বাদী হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় হাবিবুর সহ ১২ জনকে আসামী করে মামলা করেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারী আসামীরা একজোট হয়ে উক্ত জমি চাষাবাদের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এর ফলে জমির মালিক আজাবুল হক বাদী হয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারী দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা মতে আসামীগনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। মামলা নম্বর- ৮৮পি/২০১৮। বিজ্ঞ আদালত উক্ত সম্পত্তিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন এবং আগামী ২৩ এপ্রিল আসামীদের আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে বৃদ্ধ জাকির ও তার ছেলে আজাবুল জানান, গত ২৫ মার্চ রাতে আমাদের একটি ঘরে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়েছে এবং পরদিন রাতে আমাদের ট্রাক্টরের মোবিল তেল ফেলে দিয়েছে। এমতাবস্থায় ট্রাক্টর চালু করলে জ্বলে যেত। তারা আরো জানান, আসামীদের ভয়ে আমরা একাই রাস্তা চলাফেরা করতে পারছি না।
উক্ত মামলার ১নং আসামী হাবিবুর জানান, জমিটি আমার বাবা ৫ লাখ টাকায় বন্ধক নিয়ে ভোগদখলে আছে। তারা জমি কিনেছে ভাল কথা, আমাদের টাকাটা দিলেতো আর কোন সমস্যা থাকে না। তবে মারপিট ভয়ভীতির কথা সম্পূর্ন মিথ্যে।
আজ বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম জানান, তারা (আজাবুলেরা) জমি কিনেছে, ঠিক। বিষয়টি নিয়ে আমি বৈঠক করেছি। শেষ পর্যায়ে এসে আর কোন পক্ষ মেনে নেয়না বলে অমিমাংসিত ভাবে থেকে গেছে। 



শেয়ার করুন

0 facebook: