পাংশায় যৌথ বিল্ডিং করে বিপাকে উভয়পক্ষ
মাসুদ রেজা শিশির
রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের সরদার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যৌথ ভাবে ৪ তলা ভবন নির্মান করে বিপাকে পড়েছে উভয় পক্ষ আমেরিকা প্রবাসী মোঃ মোমিন মন্ডল ও কয়েত প্রবাসীর স্ত্রী আলেয়া বেগম। মোমিন মন্ডল পৌর শহরের বিষ্ণপুর গ্রামের মৃত আকবার মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের নানা ভাবে মিমাংশার প্রক্রিয়া প্রশ্ন বৃদ্ধ হওয়ায় রবিবার রাতে নিজ ফ্লাটে প্রেস কনফারেন্স করেছেন আমেরিকা প্রবাসী মমিন মন্ডল। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মোমিন মন্ডল সাংবাদিকদের জানান কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী আলেয়া বেগম এর সাথে ( আত্বীয়তার বন্ধনে) উভয়ের সম্মতিতে যৌথ ভাবে ৪ তলা ভবন নির্মান কাজের শুরু করে পর্যায়ক্রমে ৪তলা ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে,মোমিন মন্ডল আমেরিকা থাকায় ওই কাজের দেখা শুনা ও যাবতীয় কর্মকান্ড আলেয়া বেগম ও তার ছেলে আরিফ করে আসছিল। যা উভয়কে খরচ বহন করার কথা ছিল অংশ মোতাবেক, এ চার তলা ভবন নির্মানে প্রায় ১ কোটি টাক খরচ হয়েছে এর মধ্যে আলেয়া বেগম ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করেছে এবং ৪ লক্ষ টাকার একটি জমির বায়না নামা দিয়েছে তবে অদ্যবদি ওই জমি রেজিঃ করে দেয়নি বলে মোমিন মন্ডল জানিয়েছেন। যৌথ ভাবে ভবনের কাজ করার জন্য উভয় পক্ষ স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিত্বে একটি চুক্তিনামা সম্পাদন করেন এর মধ্যে ওই আলেয়ার সই ও সম্মতি রয়েছে। ইতি পূর্বে এ ভবন নির্মান করতে গিয়ে একাধীকবার তাদের স্থানীয় শালিসদারদের নিকট ধর্ণা দিতে হয়েছে। মোমিন মন্ডল জানান এখন পর্যন্ত যে টাকা খরচ হয়েছে সে হিসাবে আলেয়ার অংশে ৪৬ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৭ টাকা খরচ হয়েছে এর মধ্যে সে ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেছে,বাকী টাকা চাওয়ায় নানা ভাবে সে তালবাহানা শুরু করেছে,এরই মধ্যে পাংশা থানায় অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানীর চেষ্ঠা করেছে। এ ব্যপারে আলেয়া বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন মোমিন মন্ডল ও তার ভাতিজা আমাকে মারধর করেছে, আমার এখানে ২তলা করার কথা ছিল এখন ৪ তলার টাকা আমি কোথা থেকে দেব,আমার কাছে মোমিনু মন্ডল কিছু টাকা পাবে হিসাব করে আমি তা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করে দেব। এদিকে মোমিন মন্ডল আমেরিকায় স পরিবারের বসবাস করায় ওই জমি ও ভবন দেখভাল করার জন্য তার সহদর ভাই মোঃ মালেক মন্ডলকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
খবর বিভাগঃ
পাংশার খবর
সাম্প্রতিক
সারাদেশ
0 facebook: