হত্যা নাকি আত্বহত্যা
পাংশায় মুন্নাফ
শেখের লাশ
উর্দ্ধার ॥
পরিবারের দাবী
পরিকল্পিত হত্যা
মাসুদ রেজা শিশির
রাজবাড়ীর পাংশা থানা পুলিশ
সোমবার সকালে
পৌর শহরের
গুধিবাড়ী গ্রামের
রশিদ মোড়
এলাকা থেকে
মুন্নাফ শেখ
(৫৫) নামের
এক ব্যাক্তির
লাশ উর্দ্ধার
করেছে।
এ ঘটনায়
নিহত মুন্নাফ
শেখের ছেলে
মেয়ে-জামাইসহ
পরিবারের লোকজন
দাবী করছে
পরিকল্পিত ভাবে মুন্নাফ শেখকে হত্যা
করে লাস
ঝুলিয়ে রাখা
হয়েছে।
পাংশা থানা
পুলিশ লাস
উর্দ্ধার করে
ময়না তদন্তের
জন্য মর্গে
প্রেরণ করেছে।
নিহত
মুন্নাফ শেখের
ছেলে জসীম
শেখ দাবী
করে বলেন
আমার পিতাকে
পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে আমার
ছোট মা
ফরিদা বেগম,তার ছেলে
সবুজসহ লোকজন। আমি
আমার পিতার
হত্যার বিচার
চাই।
নিহত মুন্নাফের
জামাই বলেণ
আমাদের সাসনেই
অনেক বার
জমি জমা
লিখে দিতে
আমার শশুড়
মুন্নাফকে চাপ দিয়েছে এটা আমরা
জানি।
বাবুপাড়া ইউনিয়ন
পরিষদের সদস্য
মোঃ ইউনুস
আলী বলেন
স্বামী ন্ত্রীর
মধ্যে কলহ
ছিল সেটা
নিয়ে আমরা
৫/৬
দিন আগে
শালিশে বসেছিলাম
কিন্তু সেই
সালিশ হয়নি। এলাকা
ও নিহতের
পরিবার সুত্রে
জানাযায় রবিবার
সন্ধ্যার পরে
নিহত মুন্নাফ
শেখ তার
স্ত্রী ফরিদা
বেগম এর
ভাড়া বাসায়
আসেন সেখানে
তারা এক
সাথে রাতের
খাবার খেয়েছিল। বাড়ীর
মালিক মোবারক
এর ন্ত্রী
শিউলী আক্তার
জানান রাত
আনুমানিক ২টার
দিকে আমার
ভাসুর
তোফাজ্জেল তার নিজের
আম গাছে
মুন্নাফের লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার
দিলে স্থানীয়রা
ছুটে আসে
এর আগেই
লাশ নামিয়ে
ফেলেন তোফাজ্জেল
হোসেন বলে
তিনি জানিয়েছেন
।
সকালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ
সুপার (পাংশা
সার্কেল) মোঃ
ফজলুল করিম,পাংশা থানার
অফিসার ইনচার্জ
মোঃ মোফাজ্জেল
হোসেন ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেন। নিহত
মুন্নাফ শেখ
উপজেলার বাবুপাড়া
ইউপির হাজরাপাড়া
গ্রামের মৃত
ইমান শেখের
পুত্র,মুন্নাফ
শেখ ১টি
ছেলে ও
৫ কন্যা
সন্তানের জনক। স্ত্রীর
মৃত্যুর পর
গত ৩বছর
আগে অপর
বিধবা ফরিদা
বেগমকে বিয়ে
করে সংসার
করে আসছিল,২য় স্ত্রী
ফরিদা বেগমের
আগের ঘরে
২টি ছেলে
সন্তান রয়েছে। পাংশা
থানা পুলিশের
হেফাজতে থাকা
ফরিদা বেগম
বলেন বেশ
কিছুদিন ধরে
ওই পরিবারের
সঙ্গে আমার
ঝগড়া বিবাদ
হচ্ছিল এ
কারনে আমি
আমার ছেলেরা
যে খানে
ভাড়া থাকে
সেই বাড়ীতে
২মাস মত
চলে এসেছি। ফরিদা
বেগম বলেন
আমাকে ৬/৭ দিন
ধরে মুন্নাফ
শেখ বাড়ী
নিয়ে যাওয়ার
জন্য জোর
করে আসছিল,
ঘটনার দিন
রাতে সে
আমার ভাড়া
বাসায় এসেছিল
রাত ১০
টার দিকে
ভাত খেয়ে
আমার বাসা
থেকে চলে
যায় এর
পর কি
হয়েছে তা
আমার জানা
নেই।
পরে তোফাজ্জেল
ভাইয়ের চিৎকার
শুনে বের
হয়ে লাশ
দেখতে পায়
সে রাগ
করে আত্বহত্যা
করেছে।
এ ব্যাপারে
পাংশা থানার
অফিসার ইনচার্জ
মোঃ মোফাজ্জেল
হোসেন বলেন
প্রাথমিক ভাবে
এটা আত্বহত্যার
ঘটনা বলে
মনে হচ্ছে। সিনিয়র
সহকারী পুলিশ
সুপার (পাংশা
সার্কেল) মোঃ
ফজলুল করিম
বলেন প্রাথমিক
ভাবে মনে
হচ্ছে এটা
আত্বহত্যা তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট
পেলে বিষয়টি
জানা যাবে। এ
ব্যাপারে পাংশা
থানায় মামলার
প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সুত্র
জানায়।
খবর বিভাগঃ
পাংশার খবর
সাম্প্রতিক
সারাদেশ
0 facebook: