Saturday, June 2, 2018

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিক ধর্মঘট অব্যাহত

২১ দিন অতিবাহিত

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিক ধর্মঘট অব্যাহত



এম এ আলম বাবলু

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ধর্মঘটের ২১তম দিনে আজ শনিবার শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দৈব কারণে এর আগে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষনা করা হলেও স্থগিত করা হয়। আজ শনিবার সকাল থেকে আবারও পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে এবং শ্রমিকরা পূর্বের ন্যায় কর্মবিরতি পালন করছেন। খনি শ্রমিকেরা অব্যাহতভাবে ধর্মঘট ও অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আজ শনিবার সকাল থেকে খনি গেটে অবস্থান নিয়ে পথসভা ও মিছিল করেছেন।  এতে অংশ নেন শ্রমিক ইউনিয়নের সকল নেতা কর্মী ও ২০ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন। মিছিল শেষে খনি গেটের পথসভায় বক্তব্য রাখেন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, ওয়াজেদ আলী ও সেই সাথে ২০ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান। বক্তারা বলেন শ্রমিকদের ১৩ দফা এবং ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীর ৬ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তারা ধর্মঘট ও অবরোধ চালিয়ে যাবেন। ধর্মঘট ও অবরোধ চলাকালে বিসিএসসিএল চিনা শ্রমিকদের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন করছিলেন। এ উত্তোলন পূর্বের তুলনায় না হলেও এক শিফটে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে তার করার কিছুই নেই। তবে তিনি বিষয়গুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন এবং প্রতিদিনই অবগত করছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষই নিয়ম মাফিক বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এদিকে গত শনিবার খনিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনের জন্য জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্যরা সরজমিনে কয়লা খনিতে এসে  উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনেন। কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ মোস্তফা কামাল, জ্বালানী বিভাগের উপ-সচিব মুহা, মনিরুজ্জামান ও হাইড্রোকার্বন ইউনিটের পরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল কাদের। এর পরেও সমস্যার কোন সমাধান না হওয়ায় খনির শ্রমিকেরা পূর্ব ঘোষনা মোতাবেক আজ শনিবার সকাল থেকে ধর্মঘটের পাশাপাশি অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে। খনির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম রবি এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভের সাথে জানান, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবী-দাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবী-দাওয়া মেনে নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আমরা ধর্মঘটের পাশাপাশি অবরোধ কর্মসূচী শুরু করেছি। আমাদের দাবী-দাওয়া মানা না হলে রেলপথ, রাজপথ অবরোধের পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে।


শেয়ার করুন

0 facebook: