Tuesday, July 24, 2018

পাংশায় শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে এগিয়ে চলছে শ্যামশ্রী বালা

ক্লাস করেনি কোনদিন তবুও এইচ এসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৩৮

পাংশায় শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে এগিয়ে চলছে শ্যামশ্রী বালা

মাসুদ রেজা শিশির 

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের জোনাপাট্টা গ্রামের সমীর কুমার বালার কন্যা শারীরিক প্রতিবন্ধী শ্যামশ্রীবালা এবছর পাংশা আইডিয়াল গার্লস কলেজ থেকে এইচ এসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন সে জিপি এ ৪.৩৮ পেয়েছেন। পাট্টা জোনা হাইস্কুল থেকে এস এসসি পরীক্ষায় ৩.৬১ ও একই স্কুল থেকে মেধাবী এই শিক্ষার্থী জে এসসি পরীক্ষায় ৩.৬৩ পেয়েছিল। শারিরীক প্রতিবন্ধী এই মেধাবী শিক্ষার্থীর বাবা সমীর কুমার বালা এ প্রতিবেদককে জানান তার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে কোন দিনই স্কুলে যায়নি বাড়ীতে নিজে নিজেই পড়া শোনা করে, তার শারীরিক প্রতিবন্ধীতার মধ্যে রয়েছে অন্য আর একটি সমস্যা আর তা হলে অনিয়ন্ত্রিত প্র¯্রাব পায়খানা যখন তখন সেটা হওয়ায় কোনদিনই স্কুলে কলেজে যাওয়া হয়ানি মেধাবী ওই শিক্ষার্থীর। তিনি বলেন এই পয়ঃকার্যাদি নিয়ন্ত্রনের জন্য দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে একই সাথে ভারতের ব্যাংগালোরে নিন্মেস হাসপাতাল, কলকাতার ভিকটরিয়া হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা দিয়েছেন কিন্তু এই পয়ঃকার্যাদি নিয়ন্ত্রনে কোন কার্যকর কাজ হচ্ছে না। মেধাবী শিক্ষার্থী শ্যামশ্রীবালা বলেন আমারও সকলের মত স্কুল কলেজে যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু আমার শারীরিক অক্ষমতার জন্য আমার সেই সাধ কোন দিনও পূন্য হলো না,আমার খাবার লাগে যখন সবাই এক সাথে দল বেধে কলেজে যায় আর আমি বাসায় বসে অশ্রু ফেলি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য অর্জন করায় এলাকায় ব্যপক সু নাম রয়েছে। শ্যামশ্রীবালার বাবা বলেন আমার মেয়ের প্রতিবন্ধীতা নিয়ে আমি চিন্তিত নয় কেননা এটা সৃষ্টিকর্তা আমার কাছে দিয়েছেন তবে ওর তার  পয়ঃকার্যাদি নিয়ন্ত্রণ হলে ও স্বাভাবিক ভাবে কিছু কাজ কর্ম করতে পারত।     শারিরীক প্রতিবন্ধী এই মেধাবী শিক্ষার্থীর বাবা সমীর কুমার বালা বিজিবির একজন গর্বিত সদস্য তিনি বলেন আমার মেয়েকে ঘিরেই আমার চাকুরী করা আমি সব সময় মেয়ের পরীক্ষার সময় গুলোতে ছুটি নেওয়ার চেষ্টা করি পরীক্ষার সময় তার পাশে থাকার জন্য কেননা যখন তখন মেয়ের প্র¯্রাব -পায়খানা হয়ে যায় বাবা হয়েও আমি প্রতিটি সময় ওর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি,সরকারের কাছে আমার মেয়ের জন্য বেশী কিছুর দাবী নেই আমি শুধু ওর পয়ঃকার্যাদি নিয়ন্ত্রনের জন্য সঠিক পরামর্শ ও সহযোগীতা কামনা করি। আমি মনে করি আমার মেয়ে এই সমাজের বোঝা নয় ও অনেক মেধাবী নিজের জন্য পরিবারের জন্য হয়ত সমাজের জন্য একদিন আমার মেয়ে অনেক কিছুই করবে। মেয়ের শারিরিক সুস্থতার জন্য সকলের নিকট আর্শ্বীবাদ কামনা করেন শারিরীক প্রতিবন্ধী এই মেধাবী শিক্ষার্থীর বাবা সমীর কুমার বালা। শারিরীক প্রতিবন্ধী শ্যামশ্রী বালা বলেন আমি পড়া লেখা করতে চাই প্রতিবন্ধীরা যে দেশের বা সমাজের বোজা নয় সেটা প্রমান করতে চাই শ্যামশ্রী বালা সকলের নিকট দোয়া ও আর্শ্বীবাদ কামনা করেছেন।



শেয়ার করুন

0 facebook: