মৃগী শহীদ দিয়ানত
ডিগ্রি কলেজের
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম অধ্যাপক আব্দুর রব
এর ১১
তম মৃত্যুবার্ষিকী
পালিত
সোনার হরিণ পেতে হলে শিক্ষকদের সোনার মানুষ হতে হবে
------বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ
জিল্লুল হাকিম
এমপি
মাসুদ রেজা শিশির
মৃগী শহীদ দিয়ানত ডিগ্রি
কলেজ একজন
মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটির
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম অধ্যাপক আব্দুর রব
একজন মুক্তিযোদ্ধা
ছিলেন।
মৃগী শহীদ
দিয়ানত ডিগ্রি
কলেজ প্রতিষ্ঠার
সময় অনেক
ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কতিপয়
স্বাধীনতা বিরোধী চক্র প্রতিষ্ঠানটি একজন
মুক্তিযোদ্ধার নামে করায় গভীর ষড়যন্ত্র
করতে থাকে। কিন্তু
এ এলাকার
শিক্ষানুরাগী, দেশপ্রেমিক, মুক্তিযোদ্ধা
অধ্যাপক আব্দুর
রব অক্লান্ত
পরিশ্রম করে
সকলকে সাথে
নিয়ে এ
প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করেন। অধ্যাপক
আব্দুর রব
ছিলেন একজন
সৃষ্টিশীল মানুষ। তিনি একজন
মেধাবী ছাত্র
ছিলেন।
শিক্ষার প্রতি
তার ছিল
গভীর শ্রদ্ধা
ও ভালবাসা। তাই
তিনি এ
এলাকার মানুষকে
শিক্ষার আলোয়
আলোকিত করার
জন্য এই
কলেজটি প্রতিষ্ঠা
করেন।
এই কলেজটির
নামকরণ ও
প্রতিষ্ঠাতা যেহেতু একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে
সেহেতু এই
কলেজটি একটি
মডেল কলেজ
হওয়া উচিত। কিন্তু
আমি এখানকার
শিক্ষকদের সেরকম আন্তরিকতা দেখতে পায়
না।
শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক হতে
হবে এবং
শিক্ষার্থীদের যথাযথ দেখভালের মাধ্যমে ভাল
ফলাফল অর্জন
করাতে হবে। শুধু
পাস করলেই
হবে না
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তির
জন্য শিক্ষকদের
যতœশীল
হতে হবে। সোনার
হরিণ পেতে
হলে শিক্ষকদের
সোনার মানুষ
হতে হবে। সোনার
মানুষ হতে
হলে শিক্ষকদের
আদর্শবান ও
সৎ হতে
হবে।
সেই সাথে
শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে
হবে।
সোনার হরিণ
পাওয়া মানে
কলেজ সরকারিকরণ
নয়।
শিক্ষার্থীদের বেতন কম ও বিভিন্ন
সুযোগ-সুবিধা
পাওয়া।
সেই সাথে
শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সহ
সরকারি বিভিন্ন
সুযোগ-সুবিধা
ভোগ করা। এই
জন্যই আপনারা
সোনার হরিণ
পেতে চান। এই
কলেজ সরকারিকরণের
চেয়ে যেটা
সবচেয়ে বড়
দরকার সেটা
হলো আপনাদের
সোনার মত
ছাত্র-ছাত্রী
সৃষ্টি করা। সোনার
মত ছাত্র-ছাত্রী সৃষ্টি
করে কলেজের
ফলাফল ভাল
করাতে হবে। এই
কলেজের সুনাম
সারাদেশে ছড়িয়ে
দিতে হবে। এই
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা
বীর মুক্তিযোদ্ধা
অধ্যাপক আব্দুর
রব এসএসসি
পরীক্ষায় বাংলাদেশে
নবম স্থান
অধিকার করেছিলেন। জীবনে
প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য ভাল ফলাফল
করতে হবে। সেই
সাথে কলেজের
প্রতিষ্ঠাতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা ভাল
ফলাফল অর্জন
করে এই
কলেজের সুনাম-সুখ্যাতি বয়ে
আনবে বলে
আমি আশা
করি।
গতকাল সোমবার
দুপুর ২টায়
রাজবাড়ীর কালুখালী
উপজেলার মৃগী
শহীদ দিয়ানত
ডিগ্রি কলেজের
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুর
রব এর
১১ তম
মৃত্যুবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে রাজবাড়ী
জেলা আওয়ামীলীগের
সভাপতি ও
মৃগী শহীদ
দিয়ানত ডিগ্রি
কলেজের গভর্নিং
বডির সভাপতি
বীর মুক্তিযোদ্ধা
মোঃ জিল্লুল
হাকিম এমপি
এসব কথা
বলেন।
মৃগী শহীদ
দিয়ানত ডিগ্রি
কলেজের ভারপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষ আইয়ুব
আলী খালাসী’র সভাপতিত্বে
ও সহকারী
অধ্যাপক মোঃ
আনোয়ার হোসেন
এর সঞ্চালনায়
বিশেষ অতিথি
হিসেবে বক্তব্য
রাখেন, পাংশা
সরকারি কলেজের
উপাধ্যক্ষ ও পাংশা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি
এ,কে,এম শফিকুল
মোরশেদ আরুজ,
কালুখালী উপজেলা
নির্বাহী অফিসার
মোঃ তোফায়েল
আহম্মেদ, মরহুম
অধ্যাপক আব্দুর
রব এর
সহোদর লেফটেন্যান্ট
কর্ণেল ওয়াদুদ,
অধ্যাপক আব্দুর
রব এর
কন্যা পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব জেবিন নেছা
বিনতে রব
প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত
ছিলেন অধ্যাপক
আব্দুর রব
এর সহধর্মিনী
শাহানা আনোয়ার,
মৃগী ইউপি
চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সাগর মোল্লা, সাওরাইল
ইউপি চেয়ারম্যান
শহিদুল ইসলাম
আলী, মৃগী
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের
সাধারণ সম্পাদক
মোঃ আবুল
হোসেন জোয়াদ্দার,
কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও
এলাকার গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ। আলোচনা শেষে বীর
মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অধ্যাপক আব্দুর রব
এর রুহের
মাগফেরাত কামনায়
বিশেষ দোয়া
ও মোনাজাত
অনুষ্ঠিত হয়।
খবর বিভাগঃ
পাংশার খবর
সাম্প্রতিক
সারাদেশ
0 facebook: