Monday, April 22, 2019

পার্বতীপুরে মরতে বসেছে ছোট যমুনা নদী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর


পার্বতীপুরে মরতে বসেছে ছোট যমুনা নদী
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর

এম এ আলম বাবলু

অবৈধ বালু উত্তোলন, নদী দখল, পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মান, জলাভুমিতে শিল্প বজ্য ফেলাসহ নানা কারণে সারাদেশে দিন দিন ক্রমাগত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিলীন হওয়া নদীর সংখ্যা। এসব নদীকে বাচিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী এলাকাবাসীর।  সারাদেশের ন্যায় পার্বতীপুরে মরতে বসেছে যুমনা নদী। এই নদী রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় অবৈধ দখল, বালু উত্তোলনসহ নানা কারণে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী নালার অধিকাংশই এখন মৃত প্রায়। এর মধ্যে ছোট যমুনা অন্যতম। উত্তরের জেলা নীলফামারী সদর উপজেলার গোরগ্রামের এক বিল থেকে এর উৎপত্তি হলেও ফুলবাড়ী, বিরামপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আত্রাই নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে এই ছোট যমুনা নদী। শুধু পার্বতীপুর উপজেলায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এ নদী। পূর্বে এ অঞ্চলের কৃষকের চাষাবাদ ও গৃহস্থালীর কাজের পাশাপাশি মানুষের আমিষের চাহিদা মেটালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রতিনিয়তই বে-দখল হচ্ছে এসব নদী নালা। এসব জলাভুমিতে শিল্প বজ্য ও শহরের কঠিন বজ্য ফেলে ভরাট, বাড়ী-ঘরসহ স্থাপনা নির্মাণ করায় ধীরে ধীরে বিলীন হচ্ছে এসব নদী। সেই সাথে দীর্ঘ সময় সংস্কার না করায়, প্রতিবছর বন্যায় নদীর তলদেশে পলি জমে নাব্যতা হারানোয় নদীর বুকে চলছে এখন কৃষি কাজ। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি জমি নাকি নদী। অনেকে ফসল উৎপাদনের লক্ষে নদীর পাড় কেটে তৈরি করেছে ফসলী জমি।
অবৈধ দখলের কথা স্বীকার করে অনেকের এসব জমি কেনা-বেচার কথাও জানালেন নদী পাড়ের কৃষি শ্রমিক ও কৃষকগণ।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালালেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন, পার্বতীপুর উপজেলা নদী সংরক্ষণ কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান। শীঘ্রই অবৈধ দখলকৃত নদীর ম্যাপ দেখে চিহ্নিত করার মাধ্যমে খননের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃঞ্চকমল সরকার। অবৈধ বালু উত্তোলন সহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণরোধে নিয়মিত মোবাইলকোট পরিচালনার পাশাপাশি নদীর পাড়ের ভাঙ্গন রোধ ও সৈন্দর্য বর্ধনের লক্ষে কাজ করার কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানুল হক। 


শেয়ার করুন

0 facebook: