Wednesday, May 15, 2019

স্বপ্ন ভঙ্গ কয়েকজন বেকার মাছচাষীদের পাংশায় সিরাজপুর হাওড় থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে মাছ লুটের অভিযোগ



মাসুদ রেজা শিশির 

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের পারডেমনামারা আশ্রয়ন প্রকল্পের সিরাজপুর হাওড়ের কোটা থেকে বিগত ২দিন ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানের ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক খান প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে থেকে তার নিজ গ্রামের লোকজন দিয়ে মাছ লুট করেছে। জানাগেছে পারডেমনামারা আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি আব্দুল আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সহ সরিষা ইউনিয়নের পারডেমনামারা, বহলাডাঙ্গা, বাগলী, বিলজালিয়া ও দেওবাড়ীয়া গ্রামের মোট ২৫ জন বেকার যুবকেরা নিজেদের ভাগ্যন্নোয়নের লক্ষ্যে এবং দেশের আমিষের চাহিদা মেটাতে বিগত ৪ মাস আগে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন জাতের পোনা মাছ হাওড়ের ঐ অংশে ছাড়ে। মাছ ছাড়ার পর থেকে তারা নিয়মিত মাছের পরিচর্যা করে আসছিলেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা তাদের খরচ হয়েছে বলে জানান। এদিকে মাছ ধরার মৌসুম আসার আগেই পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন কসবামাজাইল ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক খান গত ২দিন ধরে প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে নিজ গ্রাম ও আশপাশ এলাকার লোকজন নিয়ে মাছ লুট করে নিয়েছে বলে সরিষা ইউনিয়ন আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক ও মাছ চাষী মোঃ ফরিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান। এব্যাপারে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাছ মারার ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং যারা মাছ মারছে তাদেরকে নিষেধ করেছি। কসবামাজাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ সেকেন্দার আলী জানান, আমি কসবামাজাইল ইউনিয়নে কেওয়াগ্রাম এলাকায় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র ঐ এলাকায় অবস্থান করছি। মাছ মারার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
ঘটনাস্থলে সাংবাদিক দেখে মাছচাষীরা আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে মাছ লুট করে আমাদের স্বপ্ন ভঙ্গ করেছে। এখান থেকে বেকারত্ব দূর করে নিজেদের ভাগ্যন্নোয়নের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু দুর্বৃত্তরা এমন ঘটনায় ঘটানোয় আমরা নির্বাক হয়ে গেছি। এঘটনার আমরা উপযুক্ত বিচার দাবী করছি।  


শেয়ার করুন

0 facebook: