Tuesday, May 14, 2019

কি খাচ্ছি আমরা ও আমাদের শিশুরা পাংশায় বিকেলের কাচাঁকলা সকালেই পাকা কলা



মাসুদ রেজা শিশির 
রমজান উপলক্ষে কলার ব্যাপক চাহিদা হওয়ায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার  বিভিন্ন এলাকায় বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাকানো হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ‘কলা’। ফলে রাতে যে ফল কাঁচা দেখা যায়, তা সকালেই বাহারি পাকা রসালো ফল হয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে  চড়া মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত কার্বাইড ব্যবহার ছাড়াও কৃত্রিমভাবে পাকানো কলা ও বিভিন্ন ফল। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, এসব ফলই সর্বনাশ করে চলছে মানব দেহের। এসব খেয়ে অসহায় মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা কঠিন ও জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জানা যায়, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি লাভের আশায় মানুষের জীবন বিনষ্ট এ কাজে লিপ্ত হলেও এদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না আইনগত  কার্যকর ব্যবস্থা।

ব্যবসায়ীরা কম দামে কাঁচা কলা কিনে রাতারাতি কার্বাইড নামক বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করে আসছে, প্রশাসনের নাকের ডগায়। রাতে যে কলা কাঁচা, সকালেই তা ম্যাজিকের ন্যায় পাকা হয়ে বের হয়ে আসছে। আর এ কাজটি অহরহ চলছে জ্ঞাতসারেই। যা চলছে অনেকটা প্রকাশ্যেই বলেও জানা যায়।

জানা যায়, কার্বাইড এমন এক বস্তু যা কিনা বাতাসের সংস্পর্শে এলে তৈরি হয় অ্যাসিটিলম গ্যাস। যা লোহা কাটার জন্য গ্যাস কার্টারে লাগিয়ে ব্যবহূত হয়। অ্যাসিটিলম গ্যাসের উত্তাপ প্রচ- বেশি। আর কার্বাইডের মাধ্যমে এ উত্তাপেই পাকানো হয় কলাসহ বিভিন্ন ফল। যা কি না মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এমন বক্তব্য দিয়েছেন চিকিৎিসক মহল। চিকিৎসকরা জানান, কার্বাইড দিয়ে ফল পাকালে ফলের ভেতর বিষ ঢুকে।

কেমিক্যাল মিশ্রিত ফল খেলে মানুষ দীর্ঘমেয়াদি নানা রকম রোগে বিশেষ করে বদহজম, পেটের পীড়া, পাতলা পায়খানা, জন্ডিস, গ্যাস্টিক, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়াসহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মহিলারা এর প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারে। শিশুরা বিষাক্ত পদার্থের বিষক্রিয়ার ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে আশঙ্কা করেছেন চিকিৎসক মহল। রবিবার বিকালে পাংশা স্টেশন এলাকায় ভ্যান ভর্তি কাচা কলা আসতে দেখাযায় সেই কলা সোমবার সকালে গিয়ে দেখাযায় সব পেকে গিয়েছে কিভাবে এতো তারাতাড়ি কলা পেকে গেল তার কোন সুউত্তর নেই ওই কলাপাকানোর কারখানার কর্মচারীর কাছে এ ব্যাপারে ওই কারখানার মালিকের সাথে কথা কলার চেষ্ঠা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি তবে ওই কারখানার কর্মচারী বলেন কলা পাকাতে আমাদের ২দিন লাগে।


শেয়ার করুন

0 facebook: