স্বরাষ্ট্রসচীব, আইজিপি, জাতীয়
মানবাধিকার কমিশন সহ প্রশাসনিক দপ্তরে আবেদন।
খন্দকার এইচ আর হাবিব
দিনাজপুরের ফুলবাড়ি পল্লীতে বিধবা গৃহ বধু ও তার নাবালোক সন্তানদের সম্পতি হাতিযে নিতে
ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে গাছের সঙ্গে বেধে মধ্যযুগীয়
কায়দায় রাতভর মারধরের ঘটনায় মামলা করায় নিরাপত্তাহীনতার দুই মাস অতিবাহিত হলেও বাড়িতে
ফিরতে না পেরে বাদীনি প্রশাসনিক ও আইনগত সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি),
স্বরাষ্ট্রসচীব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান, ডিআইজি রংপুর, জেলা পুলিশ সুপার,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম সাংবাদিক, ও প্রেসক্লাবে
সম্প্রতি আবেদন করেছেন।বাদী গৃহবধু রেশমা বেগমের নবম এবং পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যায়ণরত দু“সন্তানের শিক্ষা
জীবন অনিশ্চিত হওয়ায় বিভিন্ন জনের বাড়িতে আত্নগোপনে পালিয়ে থাকতে গিয়ে বিদ্যালয়ে ক্লাস
করতে পারছেনা শিশু সন্তান আঁখি ও রাফি।এ দিকে মামলা তুলে না নিলে বাদীনির শিশু সন্তানকে
হত্যা এবং স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী কে ধষর্নের হুমকি দাতা মামলার অন্যতম আসামি আব্দুল কাইয়ুম
গংরা এখন পর্যন্ত আইনের আওতায় না আসায় তারা বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হুমকির শিকার ছাত্রী
আখিঁ মনি নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করার
পরেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে পরিবারটি নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছে না।বিভিন্ন
দপ্তরে পাঠানো আবেদনে দাবি করা হয়েছে মামলার তদন্তকারী এসআই আব্দুর রহমানের ভূমিকা
প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার অব্যাহত চাপের কারণে দু“সন্তানকে নিয়ে আত্বগোপনে রয়েছেন নির্যাতিত রেশমা
বেগম। ফুলবাড়ি উপজেলার এলুবাড়ি ইউনিয়নের পুটকিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত্য আশরাফুল
ইসলাম আবুলের বাড়িতে গত ২রা র্মাচ দিবাগত রাতে গাছের সঙ্গে বেধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফুলবাড়ি থানার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব পুলিশ পাঠিয়ে নির্যাতনের শিকার
রেশমা বেগম (২৮) কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ১৪ ব্যক্তিকে আসামি সহ অঙ্গাত
জনকে আসামি করে একটি মামলা রেকড হয়েছে যার
মামলা নম্বর ০৪ জিআর ৮৬/১৯ তাং ০২-০৪-২০১৯ ইং।থানায় মামলা হওয়ার পর আসামিরা জামিনে
এসে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান সহ স্কুল পড়ুয়া মেয়ে নবম শ্রেণির
ছাত্রী মাছতুরা আফরিনকে প্রকাশ্যে ধর্ষন ও হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ফুলবাড়ি থানায়
জিডি হয় যার নম্বর ৬৩৯।মামলার কারণে দুই সন্তানকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দূর্বিসহ জীবন
যাপন করতে হচ্ছে পরিবারটিকে। মৃত্য আশরাফুলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম গৃহ বধু রেশমা বেগম
ও এতিম ছেলে- মেয়ে দুটির সম্পতি হাতিয়ে নিতে এবং তাদেরকে বসবভিটা থেকে উৎচ্ছেদ করতে
নানা ষড়যন্ত্র আটতে থাকে তারই অংশ হিসেবে ২রা
মার্চ নজরুল তার দলবল ও জাহেদ সহ প্রাচীর টপকিয়ে
গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে চোর ঢুকেছে বলে চিৎকার করতে থাকে, এবং কেীশলে রেশমা বেগমকে ঘরথেকে
বের করে গাছে বেঁধে মারধর করে। নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে মোছাঃ মাশতুরা আফরিন আঁখি জানায়
ঐ রাতে ছোট ভাই ও মা সহ ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত প্রায় ১ টার দিকে বাড়ির আঙ্গিনায় লোক জনের
চোর চোর চিৎকার শুনতে পেয়ে আঙ্গিনায় থাকা বিদেশি গাভী চুরি করতে এসেছে ভেবে বারান্দার গ্রিলের তালা খোলা
মাত্রই কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার বড় আব্বু নজরুল ইসামের নির্দেশে আলাউদ্দিন, শরিফুল,
শাহারা বানু, মাহমুদ, জালাল, সাদ্দাম সহ অনেকে ঘরে ঢুকে আম্মুর চুলের ঝুটি ধরে টেনে হেচড়ে আঙ্গিনায়
বের করে নারিকেল গাছের সঙ্গে বেধে মারপিট শুরু
করে এবং বলতে থাকে যতক্ষন জমির দলিল গুলো দিবে না মার বন্ধ হবে না। এ সময় এক
মাত্র ছোট ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রাফি ইসলাম সহ মেয়ে আখি মনি মাকে রক্ষায় এগিয়ে
এলে তাদের কে মার পিট করে ঘরের ভিতর আটকে রাখা হয়। সারা রাত নারকেল গাছের সঙ্ঘে বেধে
রেখে মারপিট করার পর গ্রাম বাসিকে দেখানোর
জন্য বাড়ির বাইরের আম গাছের সঙ্গে বেধে পুনরায় মারপিট করা হয়। সেই সঙ্গে প্রচার করা
হয় পরকীয়ার কারণে তাকে মার ধর করা হচ্ছে। রেশমার বড় বোন আফরুজা বেগম বলেন, মৃত্য স্বামীর
বসত বাড়ি সহ জমিজমা থেকে দুটি এতিম সন্তানদের তাড়িয়ে দিয়ে সম্পদ আত্বসাতের জন্য তার
বোনকে মিথ্যা অভিযোগে গাছে বেধে মারধর করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ দর্শি গোলাম মাবুদ ও মোকছেদ
আলী জানান রাত ভর রেশমা বেগমকে মারধর করার পাশাপাশি শিশু সন্তান দুটি কেও নির্যাতন
করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মামলার এজাহার লেখার সময় কেীশলে প্রকৃত অনেক অপরাধীর নাম অন্তভূর্ক্ত
করতে দেয়নি এস আই আব্দুর রহমান। বাদী রেশমা বেগম জানান, সভ্য সমাজে আমাকে সামাজিক ভাবে
হেয় প্রতিপন্ন করতে নজরূল গংরা আমাকে ও আমার অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক সন্তানদের অমানবিক নির্যাতন
করেছে যাতে আমরা তাদের অত্যাচারে বসত ভিটা ছেড়ে চলে যাই ঘটনার প্রায় দের মাস অতিবাহিত
হতে চলছে আমি দু“ সন্তান নিয়ে তাদের হুমকির কারণে বাড়িতে ফিরতে পারছি না, আমার দু“
সন্তানের পড়াশুনা অনিশ্চিত হয়েছে।আইন প্রয়োগ কারী কর্তৃপক্ষ নিশ্চই আইনের শাষন প্রতিষ্ঠায়
অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।
খবর বিভাগঃ
ফুলবাড়ি
0 facebook: