Tuesday, August 27, 2019

৩টি মৃতপ্রায় গাছ আটকে রেখেছে গোবিন্দপুরের জনগুরুত্বপূর্র্ণ গ্রামীণ সড়ক



শৈলকুপা(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

৩টি মৃতপ্রায় গাছ আটকে রেখেছে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রামীণ সড়ক । প্রায় ১বছর ধরে সড়কটির দুই অংশে মেরামত ও ইট বিছানোর কাজ সম্পন্ন হলেও রাস্তার মাঝখানে থাকা গাছ ৩টির কারণে চলাচলের যোগ্য হচ্ছে না সড়কটি। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১৩নং উমেদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডের গোবিন্দপুর গ্রামের মধ্যপাড়ায় পুরাতন মসজিদ সংলগ্ন রাস্তাটির এই বেহাল চিত্র দেখা গেছে ।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, শৈলকুপার গোবিন্দপুর গ্রামের মধ্যপাড়ায় শতাধিক পরিবার যাতায়ত করে পুরাতন মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে । এখানে আগে কোন রাস্তাা ছিল না। ফলে নদীতে যাওয়া, নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ, কৃষি পণ্য আনানেওয়া ও ভ্যান, সাইকেলসহ কোন ছোটখাটো যানবাহন চলত না। ফলে সবার সম্মতিতে পরিবারগুলি রাস্তাাটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় । বছর খানেক আগে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারের আওতায়  প্রায় ২’শ ফুট রাস্তার কাজ করা হয় ।  প্রথমে মাটি দেয়া পরে ইট বিছিয়ে সলিং করা হয় । তবে সড়কটির মাঝখানে প্রায় ৫০ ফুট কাজ বাকী রয়েছে ৩টি আমগাছ থাকার কারণে । সবাই রাস্তার দুপাশ থেকে সমান অংশে ছাড় দিয়ে এই রাস্তা করেছে তবে আম গাছগুলির মালিক সিরাজ উদ্দিণ জানিয়েছেন মালিকানা এই জায়গাতে তারই সবচেয়ে বেশী জায়গা রাসÍার মধ্যে চলে যাচ্ছে। এরজন্যে তিনি কোন ক্ষতিপূরণ বা সহায়তা পাচ্ছেন না বলে গাছ কাটতে দেননি।
তার পুত্রবধু সেলিমের স্ত্রী জানিয়েছে, গাছের আম বেঁচে শ^শুরের সংসার খরচ অনেকটা চলে । গাছ কেটে ফেললে তাকে দেখবে কে, তিনি বলেন, শ^শুরের জন্য একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড হলে এই গাছ কাটায় শ^শুর সিরাজ সহযোগীতা করতে পারে।
পুরাতন মসজিদ পাড়ার গৃহবধু রঞ্জু খাতুন জানান, রাস্তাটি সম্পূর্ণ না হওয়ায় তারা ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত বাকী কাজটুকু হওয়া   প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এলাকার  প্রবীণ মানুষ মোহম্মদ আলী জানান, চলাচল সহ সব ধরনের কাজে সমস্যা হচ্ছে, রাস্তা খুব দরকার।
গোবিন্দপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মোনায়েম হোসেন জানান, এর আগে সড়কের কাজটি করতে গিয়ে স্থানীয় বসতিদের মধ্যে গাছ নিয়ে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়েছিল। তখন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ^াস সরোজমিনে এসে ওসি আয়ুবুর রহমান কে নির্দেশনা দিয়েছিলেন দ্রুত সমঝোতার মাধ্যমে গাছ কেটে রাস্তার বাকী কাজ যেন সম্পন্ন করা হয় । কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তখনকার ওসি আর এই কাজে সহযোগীতা করেনি। ইউপি সদস্য মোনায়েম হোসেন বলেন, ছোট ও মৃতপ্রায় গাছ ৩টি যেই মালিকের তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্যে চেষ্টা করা হবে। তিনি সম্মতি দিলে দ্রুত রাস্তার বাকী কাজটুকু সম্পন্ন করতে পারবেন ।


শেয়ার করুন

0 facebook: