Monday, August 5, 2019

পার্বতীপুরে আশংকাজনক ভাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, আক্রান্ত ৭, কন্ট্রোল রুম চালু


এম এ আলম বাবলু

পার্বতীপুরে আশংকাজনক ভাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত নারী শিশু সহ ৭ ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে আরো দু’জন ডেঙ্গু রুগি সন্দহে প্রয়োজনীয় পরীক্ষ-নিরীক্ষার জন্য প্যাথলোজিতে পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তরা হলেন- পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের পশ্চিম শেরপুর  (ভেমটিয়া) গ্রামের জীবন সরকারের ছেলে ও ঢাকুলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র পলাশ সরকার (১৭), একই ইউনিয়নের রামরায়পুর চৌধুরীপাড়ার মৃত নরেন্দ্রনাথ পালের স্ত্রী সুরবালা (৬০), পার্বতীপুর শহরের গুলশান নগর মহল্লার পৌর কাউন্সিলর কৈলাশ প্রসাদ সোনার’র ছেলে ও ঢাকা সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষের ছাত্র রনিৎ প্রসাদ সোনার (১৭), পার্বতীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামানের ছেলে ও পার্বতীপুর বীরউত্তম শহীদ মাহবুব ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের ২য় শ্রেণির ছাত্র আরাফাত হোসেন (৯), উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের বেলাইচন্ডি গ্রামের মো: আব্দুস সামাদের ছেলে আসাদ আলী (৩৮), একই ইউনিয়নের খাজেরপাড়া গ্রামের হেলাল হোসেন (২১) ও সাহেব পাড়া মহল্লার মাসুমা (২০)। এদের মধ্যে রনিৎ প্রসাদ সোনার ও আসাদ আলী ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে পলাশ, আরাফাত, রনিৎ, আসাদ আলী ও হেলাল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পার্বতীপুর আইডিয়াল প্যাথলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, গতকাল শুক্রবার তার প্যাথলজিতে হেলাল হোসেনের রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু এনএস ওয়ান পজেটিভ পাওয়া যায়। এর আগে গত ২৯ জুলাই রনিৎ প্রসাদের রক্তে ডেঙ্গু এনএস ওয়ান পজেটিভ পাওয়া যায়। শ্রীমন মেডিল্যাব এ্যান্ড ডক্টরস কর্ণারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন দাস জানান- গত ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট তার প্যাথলজিতে সুরবালা ও পলাশ সরকারের রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু এনএস ওয়ান পজেটিভ পাওয়া যায়। এছাড়া গত ২৭ জুলাই গুলশান নগরের ফারইয়াদ ডায়াগনোষ্টিক এন্ড হেলথ কেয়ার সেন্টারে মাসুমা’র রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু এনএস ওয়ান পজেটিভ পাওয়া যায়। এদিকে, পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের সহায়তার জন্য কন্টোল রুম খোলা হয়েছে (০১৩১০১১৫১৪০)। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০/২৫ ব্যক্তি জ¦রে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের বহির বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসছেন । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ আব্দুল্লাহেল  মাফী জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ডেঙ্গু এনএস ওয়ান পরীক্ষার কীট না থাকায় রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এমন সন্দেহে কোন রুগী এখানে আসলে তার চিকিৎসার দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 
 


শেয়ার করুন

0 facebook: