বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের ৩২নাম্বারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধানিবেদন |
দেলোয়ার
মাহমুদ নিপু (সৌরভ)
সেবা-শান্তি-প্রগতি মূলমন্ত্র মাথায়
নিয়ে এগিয়ে চলেছে
বর্তমান আওয়ামী
স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের
সুযোগ্য কন্যা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার নিজ
হাতে গড়া সংগঠন
বাংলাদেশ আওয়ামী
স্বেচ্ছাসেবক লীগ।যার
প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি
ছিলেন আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম
যিনি বর্তমান আওয়ামীলীগের
অন্যতম যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক। জন্মলগ্ন
থেকেই সফলভাবে এগিয়ে
চলার ইতিহাস রয়েছে
সংগঠনটির, তবে
দেখা গেছে সাম্প্রতিক
সময়ে নানা নেতিবাচক
কর্মকান্ডে আওয়ামীলীগের
বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন
সহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের
নানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ
প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন।
তখন নিজের দলের
ভিতরই দুর্নীতির বিরুদ্ধে
সোচ্চার হয়ে
শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা
করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর এই শুদ্ধি
অভিযানের মাধ্যমেই
পরবর্তীতে ক্লিন
ইমেজের নেতৃত্বের বাছাই প্রক্রিয়া শুরু
হয়। বাংলাদেশের সাধারণ
জনগণ ব্যাপক উচ্ছ্বাস
উদ্দীপনায় মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর এই
শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত
জানায়।
তারই প্রেক্ষাপটে
১৬ই নভেম্বর ২০১৯
সালে বাংলাদেশ আওয়ামী
স্বেচ্ছাসেবক লীগের
৩য় কাউন্সিলের মাধ্যমে
বাবু নির্মল রঞ্জন গুহকে
সভাপতি এবং জনাব
আফজালুর রহমান বাবুকে
সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত
করে কেন্দ্রীয় কমিটি
ঘোষনা করা হয়।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে
ঢাকা মহানগর দক্ষিণে
জনাব কামরুল হাসান
রিপনকে সভাপতি ও
জনাব তারেক সাঈদকে
সাধারন সম্পাদক এবং
ঢাকা মহানগর উত্তরে
জনাব ইসহাক মিয়াকে
সভাপতি ও আনিসুর রহমান
নাঈমকে সাধারণ সম্পাদক
নির্বাচিত করা
হয়। নবনির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবক
লীগ নেতৃবৃন্দ সবাই
সাবেক ছাএনেতা এবং
সর্বমহলে স্বচ্ছ
ব্যক্তিত্বের অধিকারী
হিসেবে বিবেচিত। নির্বাচিত
সুযোগ্য ব্যক্তিবর্গের ওপর আওয়ামী
স্বেচ্ছাসেবক লীগের
দায়িত্ব অর্পণের
বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তকে সকল মহল তথা
বাংলাদেশের সাধারণ
জনগণ প্রশংসার মাধ্যমে
গ্রহণ করে।এই অঙ্গসংঠনের
নেতৃত্বের শিক্ষা-মেধা-মননের উপস্থিতিকে
গুরুত্ববহ করে
দেখার জন্য তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে
ব্যাপক উৎসাহ ও
উদ্দিপনা দেখা
দিয়েছে। বাংলাদেশ
আওয়ামিলীগ এবং
বঙ্গবন্ধুকে যারা
প্রকৃতভাবে হৃদয়ে
ধারণ করে সেসব নেতাকর্মীরা নবনির্বাচিত
কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে
কাজ করার জন্য
এবং আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে প্রানচাঞ্চল্যতা দেয়ার
জন্য দলে দলে
এসে যোগদান করছে।
শিক্ষিত ও
মেধাবী একদল জনগণ,
যারা রাজনীতিকে এতদিন
নেতিবাচক দৃষ্টিতে
দেখতো এবং সমালোচনা
করতো তারও আজ
রাজনীতি তথা আওয়ামিলীগকে শ্রদ্ধার
চোখে দেখা শুরু
করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এবং আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক
লীগের নবনির্বাচিত কমিটির
নেতৃবৃন্দের ভূয়ষী
প্রসংশা করতে
পিছপা হচ্ছেনা তারা।
ইতিমধ্যে মাএ
আড়াই মাসের মাথায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ
তাদের নানা কর্মকান্ডের
মাধ্যমে বেশ
প্রসংশা কুড়িয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবকের প্রকৃত
অর্থ এই সংগঠনের নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে
প্রকাশ পাচ্ছে। নতুন
কমিটি গঠন হওয়ার
পর থেকে বর্তমান
নেতৃবৃন্দকে নানা ধরণের সেবামূলক
কর্মকান্ডে সক্রিয়
অংশগহণ করতে দেখা
গেছে। প্রচন্ড শীতের
রাতে অবস্থাসম্পন্ন মানুষ
নরম কম্বলের গরম
আরামে নিশ্চিত ঘুমে
অচেতন থাকে, ঠিক
সেসময় শীতবস্ত্রহীন বা
সামান্য শীতবস্ত্র
গায়ে নিম্নবিত্ত আর
ছিন্নমূল মানুষগুলো
শীতের অসহ্য কামড়ে
নির্ঘুম রাত
কাটায়। সেই অসহায়
মানুষগুলোর অসহায়ত্ব
অনুভব করে গভীর
রাতে প্রচন্ড শীতের
মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে
দেখা যায় শহরের
বিভিন্ন জায়গায়
এবং দেশের একপ্রান্ত
থেকে অন্যপ্রান্তে ছিন্নমূল
মানুষের মাঝে
শীতবস্ত্র বিতরণ
করতে। আবার কখোনো
দেখা গিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক
লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ
অসুস্থ সহকর্মীর পাশে
দাড়িয়ে সহানুভূতির হাত
বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব কাঁধে
সংগঠনের সাবেক
সাহিত্য উপ-সম্পাদক অধ্যাপক
রিজভির অসুস্থতার খবর
পেয়ে তাকে সহোযোগিতা
আর নির্ভরতা দেওয়ার
জন্য সেখানে ছুটে
গেছেন বর্তমান নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও আর্তমানবতার সেবায়
স্বেচ্ছাসেবক লীগের
সক্রিয় অংশগ্রহণ
ছিল চোখে পড়ার
মতো।
নবনির্বাচিত কমিটি
প্রতিষ্ঠা হওয়ার
পর থেকে এ
পর্যন্ত স্বল্পসময়ের
মধ্যে জাতীয় এবং
দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে
তাদের সরব এবং
সুশৃঙ্খল উপস্থিতি
অন্যান্য সংগঠনের
জন্য ছিল অনুকরণীয়। যা
আওয়ামীলীগের হাইকমান্ডের
বিভিন্ন নেতাদের
বক্তব্যের মধ্যে
স্পষ্টভাবে ফুটে
উঠে। বর্তমান ঢাকা
মহানগর উত্তর ও
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
নির্বাচনেও স্বেচ্ছাসেবক
লীগের সক্রিয় কর্মকান্ড আওয়ামীলীগের হাইকমান্ডের
নেতৃবৃন্দের বেশ
প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর
ও দক্ষিণ সিটি
কর্পোরেশন নির্বাচনে
আওয়ামী লীগ মনোনিত
দুই প্রার্থীদের পক্ষে
স্বেচ্ছাসেবক লীগের
নেতা-কর্মীদের প্রচার
প্রচারনা ছিল
চোখে পড়ার মত।পরিবর্তিত
পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবক
লীগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন "নেএী
আমাদের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে
দায়িত্ব অর্পণ
করেছেন, আমরা এই
দায়িত্ব পবিত্রতার
সাথে পালন করবো,
এক্ষেত্রে টেন্ডারবাজ,
চাঁদাবাজ, ক্যাসিনোবাজ,
মাদকাসক্ত, মাদক
ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী সহ
কোন অপকর্মকারীকে স্বেচ্ছাসেবক
লীগের কোন পর্যায়ে
রাখা হবে না,
যাদের স্বেচ্ছাসেবকলীগ সংগঠন
করার ইচ্ছা আছে
তাদের অবশ্যই শিক্ষিত ও ক্লিন
ইমেজের হতে হবে
এবং সেবার মনমানসিকতা
নিয়ে আসতে হবে”
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 facebook: