Tuesday, April 2, 2024

পার্বতীপুরে মসজিদে মারামারি আহত ১ জন।। আতঙ্কে জীবন কাটাচ্ছে এতিম শিশুরা

 


জনস্রোত রিপোর্ট :  দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জুমার খুতবা, তারাবির নামাজ কে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ১ জন। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার কুতুবডাঙ্গা রায়পুর গ্রামের শেখ রোলা আল-ফালাহ জামে মসজিদে। গত রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি হলেন রায়পুর গ্রামের মমতাজ আলীর ছেলে লিটন ইসলাম(৩৩)। এ বিষয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

ঘটনা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায,  মসজিদে তারাবি নিয়ে মারামারি তারাবি নামাজ ৮ রাকাত নাকি ২০ রাকাত। মসজিদে ইমাম সাহেব তারাবির নামাজ পড়াতে গেলে তাকে বাধা দেন স্থানীয় কয়েকজন মুসুল্লি।  তারা মসজিদের ভিতরে থাকা  মুসুল্লিদের সাথে খারাপ আচরণে করেন। একপর্যায়ে মুসল্লিগণ প্রতিবাদ করলে রায়পুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে হাসান আলী ওরফে ফুকদুলু (৩৪) তার হাতে থাকা টর্চ লাইট দিয়ে একই গ্রামের মৃত মমতাজ আলীর ছেলে লিটন ইসলামের(৩৩) মাথায়  সজোরে আঘাত করেন এ সময় টর্চ লাইট এর আঘাতে লিটন ইসলাম গুরুতরভাবে রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা লিটনকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানা, যে সকল ব্যক্তিরা তারাবির নামাজ কে কেন্দ্র করে  মসজিদের ভিতরে উশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তারা আমাদের এ মসজিদের মুসল্লি নন। এবং তারাবির নামাজ আট রাকাত নাকি ২০ রাকাত এ বিষয়টাকে ইস্যু বানিয়ে তারা ব্যক্তিগত আক্রোশে আমাদের এ মসজিদে ঢুকে মুসল্লি গনের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। 

অন্যদিকে, মসজিদের সামনে অবস্থিত আব্দুল জলিল মিয়া রহমতুল্লাহ আলাইহি এতিম খানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর এতিম শিশুরা আতঙ্কে  জীবন কাটাচ্ছে। তারাবির নামাজ কে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় এখনো ঘুমাতে পারছে না প্রত্যক্ষদর্শী এতিম শিশুরা। এর পর থেকেই প্রত্যক্ষদর্শী শিশুরা দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনার পরেও সেই স্মৃতি ভেসে আসছে তাদের চোখের সামনে। মাঝে মাঝে কেউ কেউ ঘুম থেকে আঁতকে ওঠছে। মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আব্দুল জলিল মিয়া রহমত উল্লাহ আলাইহি এতিমখানাও লিল্লা বোর্ডিং এ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন এতিম শিশু রয়েছে। যারা বেশিরভাগ চার থেকে পাঁচ বছরের। মসজিদের ভিতরে মারামারির ঘটনায় তারা বেশ আতঙ্কিত।  এতিম শিশুরা এই ভয়ে জীবন কাটাচ্ছে যে  মুসল্লিগণ মসজিদে যদি মারামারি করে তাহলে তাদের উপর হামলা করতে তারা একটুও দ্বিধাবোধ করবে না। তাই এতিম শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমরা আব্দুল জলিল মিয়া রহমত উল্লাহ আলাইহি এতিমখানাও লিল্লা বোর্ডিংএর কার্যকরী কমিটির সকল সদস্য কঠোর ভূমিকা পালন করছি যাতে করে আমাদের কোন এতিম শিশু হামলাকারীর শিকার না হয়।

এ বিষয়ে আব্দুল জলিল মিয়া রহমত উল্লাহ আলাইহি এতিমখানাও লিল্লা বোর্ডিংএর  পরিচালক আরিফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন , মসজিদের ভিতরে তারাবির নামাজ কে কেন্দ্র করে যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে সেটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তায় এখন মীমাংসিত কিন্তু আমাদের এতিমখানার এতিম শিশুরা খুব জীবন যাপন করছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

শেয়ার করুন

0 facebook: