Tuesday, May 14, 2019

‘পাল্টে যাবে রাজশাহীর চিত্র’ রাসিক ও পাওয়ার চায়নার মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত


মামুন-অর-রশিদ

 মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে রাজশাহীর বিভিন্নখাতে ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) ও চায়নার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়না‘র মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে নগরভবন সভাকক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও পাওয়ার চায়নার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মি. হান কুন চুক্তিতে সই করেন। এর মাধ্যমে উন্মোচন হলো মাস্টারপ্ল্যানে রাজশাহীর উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার। ৫০ বছর দীর্ঘমেয়াদী মাস্টারপ্ল্যানটি বাস্তবায়ন হতে শুরু করলে পাল্টে যাবে পুরো রাজশাহীর চিত্র।
চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন বছর ৮টি খাতকে সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করবে পাওয়ার চায়না। খাতগুলো হলো, পদ্মা নদীরধারে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে গড়ে তোলা হবে স্যাটেলাইট টাউন, বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া বিশ^মানের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন। ক্রমানুসারে  তৈরি হবে ইকোপার্ক, সাইন্সসিটি, হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন এবং টেকনিক্যাল সুবিধা বাড়ানো। সুয়ারেজ ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন। এছাড়াও নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন জানান, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জ্যুয়ো রাজশাহীতে এসে সহযোগিতার আশ^াস দেন। এরপর তিনি চায়নার বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়নাকে রাজশাহীতে পাঠান। রাজশাহীর উন্নয়নে পাওয়ার চায়নাকে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করার অনুরোধ জানান মেয়র। তারা সম্মত হওয়ার পর কয়েক দফা আলাপ-আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বতর্মানে সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ছোট। সিটি কর্পোরেশনের আয়তন প্রায় ৪১০ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারণ করা হবে। এই বৃহৎ এলাকার মানুষকে নগরের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে চিহ্নিত করা ৮টি খাতকে সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে দেবে পাওয়ার চায়না। চুক্তি আওতায় আগামী তিন বছরের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। পরবর্তীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিক একটার পর একটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মেয়র জানান, আগামী ৫০ বছরের জন্য এই পরিকল্পনা। আজকে রাজশাহীবাসীর ব্রাইট ফিউচারের জন্য নতুন জার্নি শুরু হলো।
উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পিছিয়ে পড়া রাজশাহীকে এগিয়ে নিতে এই মহাপরিকল্পনা। ইতোমধ্যে পদ্মানদীতে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। সোনাইকান্দি থেকে তালাইমারি পর্যন্ত পদ্মানদীতে প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার জায়গা পাওয়া যাবে। সে জায়গায় স্যাটেলাইট টাউন, হোটেল, মোটেল, বিনোদনপার্ক গড়ে তোলা হবে। নদীরধার যেভাবে তৈরি হবে, যাতে শহরের প্রায় ৪০শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবাহ সেখান থেকে আসবে। বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরি করে অন্যান্য উন্নয়ন, সিঙ্গাপুরের মতো আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন, সুয়ারেজ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগরের উত্তর দিকে সাইন্স সিটি তৈরি করতে চাই। গণপরিবহন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার তৈরি করা হবে।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার চায়নার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মি. হান কুন বলেন, পাওয়ার চায়না বাংলাদেশ নতুন নয়। ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে। অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমরা রাজশাহীর সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। পাওয়ার চায়নার প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন মি. লে.জি,  মি. এ্যান্ডু ও ইয়াং শাও।
অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ রজব আলীসহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব  রেজাউল করিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পালসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#
রবিবার দুপুরে নগরভবন সভাকক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও পাওয়ার চায়নার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মি. হান কুন চুক্তিতে সই করেন। এর মাধ্যমে উন্মোচন হলো মাস্টারপ্ল্যানে রাজশাহীর উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার। ৫০ বছর দীর্ঘমেয়াদী মাস্টারপ্ল্যানটি বাস্তবায়ন হতে শুরু করলে পাল্টে যাবে পুরো রাজশাহীর চিত্র।চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন বছর ৮টি খাতকে সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করবে পাওয়ার চায়না। খাতগুলো হলো, পদ্মা নদীরধারে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে গড়ে তোলা হবে স্যাটেলাইট টাউন, বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া বিশ^মানের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন। ক্রমানুসারে  তৈরি হবে ইকোপার্ক, সাইন্সসিটি, হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন এবং টেকনিক্যাল সুবিধা বাড়ানো। সুয়ারেজ ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন। এছাড়াও নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন জানান, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জ্যুয়ো রাজশাহীতে এসে সহযোগিতার আশ^াস দেন। এরপর তিনি চায়নার বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়নাকে রাজশাহীতে পাঠান। রাজশাহীর উন্নয়নে পাওয়ার চায়নাকে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করার অনুরোধ জানান মেয়র। তারা সম্মত হওয়ার পর কয়েক দফা আলাপ-আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বতর্মানে সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ছোট। সিটি কর্পোরেশনের আয়তন প্রায় ৪১০ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারণ করা হবে। এই বৃহৎ এলাকার মানুষকে নগরের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে চিহ্নিত করা ৮টি খাতকে সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে দেবে পাওয়ার চায়না। চুক্তি আওতায় আগামী তিন বছরের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। পরবর্তীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিক একটার পর একটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মেয়র জানান, আগামী ৫০ বছরের জন্য এই পরিকল্পনা। আজকে রাজশাহীবাসীর ব্রাইট ফিউচারের জন্য নতুন জার্নি শুরু হলো।উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পিছিয়ে পড়া রাজশাহীকে এগিয়ে নিতে এই মহাপরিকল্পনা। ইতোমধ্যে পদ্মানদীতে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। সোনাইকান্দি থেকে তালাইমারি পর্যন্ত পদ্মানদীতে প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার জায়গা পাওয়া যাবে। সে জায়গায় স্যাটেলাইট টাউন, হোটেল, মোটেল, বিনোদনপার্ক গড়ে তোলা হবে। নদীরধার যেভাবে তৈরি হবে, যাতে শহরের প্রায় ৪০শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবাহ সেখান থেকে আসবে। বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরি করে অন্যান্য উন্নয়ন, সিঙ্গাপুরের মতো আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন, সুয়ারেজ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগরের উত্তর দিকে সাইন্স সিটি তৈরি করতে চাই। গণপরিবহন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার তৈরি করা হবে।অনুষ্ঠানে পাওয়ার চায়নার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মি. হান কুন বলেন, পাওয়ার চায়না বাংলাদেশ নতুন নয়। ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে। অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমরা রাজশাহীর সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। পাওয়ার চায়নার প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন মি. লে.জি,  মি. এ্যান্ডু ও ইয়াং শাও।অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ রজব আলীসহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব  রেজাউল করিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পালসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



শেয়ার করুন

0 facebook: