Tuesday, May 14, 2019

রমজান উপলক্ষে পাংশায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ॥ নেই বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা


মাসুদ রেজা শিশির 

   
রাজবাড়ীর পাংশায় পবিত্র মাহে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি হতে দেখা যাচ্ছে। রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর চাহিদা বেশি থাকে । রমজান উপলক্ষে সকলেই নিয়মিত প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কেনাকাটা করেন। এতে বাজারে বিক্রির চাপ বেশি থাকে। মানুষের চাহিদাকে পুঁজি করে অতিরিক্ত লাভের আশায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বেশি দামে বিক্রি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সবকিছু বেশী দামে ক্রয় করার অযুহাতে দাম বেড়ে যায় বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

পাংশা পৌর কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সেখানে দেখা যায় চাহিদা থাকলেও কোন জিনিসেরই ঘাটতি নেই। তারপরও দাম বৃদ্ধি কেন ? এমন প্রশ্ন ক্রেতাদের।
পাংশা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে আসা শাজাহান নামের একজনের সাথে কথা হয় তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, পবিত্র রমজান মাস তাই সবকিছুর দাম একটু বেশী মনে হচ্ছে। বিক্রেতারা আমদানী কম বলে অযুহাত দেখাচ্ছেন আসলে তেমন কিছুই না। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে যদি বাজার গুলো মনিটরিং এর আওতায় আনা যেত তাহলে এগুলো আর হত না ।
রমজানের আগের তুলনায় শাক-সবজি সহ সকল প্রকার কাঁচা তরকারির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ফল বেশী দামে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
বর্তমানে বাজারে পটল ৭০ টাকা কেজি, কাচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, লেবুর হালি ২৫-৩০ টাকা, কাঁচা কলা ২৫-৩০ টাকা হালি, পেপে ৫০ টাকা কেজি,  শসা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, ছোলার কেজি ৮০ টাকা, বেসন ৮০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
ফলের বাজারে দেখা যায়, আপেল ২০০ টাকা কেজি, আঙুর ফল ৩০০ টাকা কেজি, খেজুর খুচরা ১০০ টাকা থেকে  ৩০০ টাকা, মাল্টা ১৮০-২০০ টাকা কেজি, তরমুজ ৭০-৮০ টাকা কেজি, শবরী কলা ২৫-৩৫ টাকা হালি, লিচু ৮০টি ২০০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নি¤œ শ্রেণীর ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। রমজান মাস জুড়ে বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করা প্রয়োজন বলে সকলেই মনে করেন।



শেয়ার করুন

0 facebook: